ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব পুরুষ আর্চারিতে চ্যাম্পিয়ন তামিম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত এক যুগের অগ্নিকাণ্ড ঢাকার প্রধান বিমানবন্দরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ জুলাই সনদ অনুষ্ঠান ঘিরে সংঘর্ষ-উত্তেজনা,  মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের ঘটনায় ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা বিশাখাপত্তনমে খুলছে ভারতের দীর্ঘতম গ্লাস স্কাইওয়াক, আকাশ, পাহাড় আর সমুদ্র মিলবে এক সেতুবন্ধনে ঢাকায় মানসম্মত বায়ুমান কবে ফিরবে? অস্বাস্থ্যকর বাতাসে বন্দি এক নগরী টমাহক নয়, শান্তির পথে ট্রাম্প: রাশিয়ার শর্তেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান আফগানিস্তানে পাকিস্তানের ভয়াবহ বিমান হামলা, নিহত বেড়ে ৪০ জুলাই সনদ:  বাংলাদেশের ইতিহাস, আন্দোলন-গণতন্ত্রের নতুন মাইলফলক জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু: ড. ইউনূস

করোনার উৎপত্তি খোঁজার শেষ সুযোগ হতে পারে: ডব্লিউএইচও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১ ২৭৯ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগৃহিত

বিপজ্জনক রোগজীবাণু সম্পর্কে  উপদেষ্টা গোষ্ঠী গঠিত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে বিপজ্জনক রোগজীবাণু সম্পর্কে নবগঠিত উপদেষ্টা গোষ্ঠী কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নির্ধারণের শেষ সুযোগ হতে পারে। পাশাপাশি

প্রথমদিকের করোনা রোগীদের তথ্য সরবরাহের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। বুধবার ডব্লিউএইচও তাদের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গোষ্ঠী দ্য অরিজিন অফ নোভেল

প্যাথোজেনসের (সাগো) জন্য ২৬ জন সদস্যের নাম প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যারিয়ন কুপম্যানস, থিয়া ফিশার, হাং এনগুয়েন এবং চীনা প্রাণী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইয়াং ইয়ুঙ্গুই। এই কয়জন

উহানে যৌথ তদন্তে অংশ নিয়েছিলেন। এমন খবর দিয়েছে বিশ্বসংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের কেন্দ্রীয় শহর উহানে সর্বপ্রথম মানবদেহে কোভিড-১৯

শনাক্ত করা হয়েছিল। চীন বারবার এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে যে, ভাইরাসটি তাদের একটি ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তারা এটাও বলছে যে, সেখানে পর্যবেক্ষণ করার জন্য কারো যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ডব্লিউএইচও-এর নেতৃত্বাধীন একটি দল উহান ও আশেপাশের অঞ্চলে চার সপ্তাহ কাটিয়েছে। পরবর্তীতে মার্চ মাসে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা

জানায় যে, ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড় থেকে অন্য প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। তবুও আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

ডব্লিউএইচও-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসাস বলেছেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিনগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের অভাবের কারণে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তাই নতুন করে ল্যাব পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত নেতৃত্বে থাকা মারিয়া ভ্যান কেরখোভ আশা প্রকাশ করেছেন যে, চীনে ডব্লিউএইচও-এর নেতৃত্বে আরও আন্তর্জাতিক মিশন থাকবে।  যে গুলো  বেইজিংয়ের সহযোগিতায় হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভাইরাসটি কীভাবে প্রাণী থেকে

মানুষের মধ্যে প্রবেশ করেছে তা নির্ধারণের জন্য তিন ডজনেরও বেশি সুপারিশকৃত অধ্যয়ন এখনো চালিয়ে যেতে হবে। ডব্লিউএইচও-এর শীর্ষ জরুরি বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেন, নবগঠিত উপদেষ্টা গোষ্ঠীই সম্ভবত কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নির্ধারণের শেষ সুযোগ হতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

করোনার উৎপত্তি খোঁজার শেষ সুযোগ হতে পারে: ডব্লিউএইচও

আপডেট সময় : ১১:৫২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১

ছবি সংগৃহিত

বিপজ্জনক রোগজীবাণু সম্পর্কে  উপদেষ্টা গোষ্ঠী গঠিত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে বিপজ্জনক রোগজীবাণু সম্পর্কে নবগঠিত উপদেষ্টা গোষ্ঠী কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নির্ধারণের শেষ সুযোগ হতে পারে। পাশাপাশি

প্রথমদিকের করোনা রোগীদের তথ্য সরবরাহের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি। বুধবার ডব্লিউএইচও তাদের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গোষ্ঠী দ্য অরিজিন অফ নোভেল

প্যাথোজেনসের (সাগো) জন্য ২৬ জন সদস্যের নাম প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ম্যারিয়ন কুপম্যানস, থিয়া ফিশার, হাং এনগুয়েন এবং চীনা প্রাণী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইয়াং ইয়ুঙ্গুই। এই কয়জন

উহানে যৌথ তদন্তে অংশ নিয়েছিলেন। এমন খবর দিয়েছে বিশ্বসংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের কেন্দ্রীয় শহর উহানে সর্বপ্রথম মানবদেহে কোভিড-১৯

শনাক্ত করা হয়েছিল। চীন বারবার এই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে যে, ভাইরাসটি তাদের একটি ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তারা এটাও বলছে যে, সেখানে পর্যবেক্ষণ করার জন্য কারো যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনা বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ডব্লিউএইচও-এর নেতৃত্বাধীন একটি দল উহান ও আশেপাশের অঞ্চলে চার সপ্তাহ কাটিয়েছে। পরবর্তীতে মার্চ মাসে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা

জানায় যে, ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড় থেকে অন্য প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। তবুও আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

ডব্লিউএইচও-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসাস বলেছেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিনগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের অভাবের কারণে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। তাই নতুন করে ল্যাব পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রযুক্তিগত নেতৃত্বে থাকা মারিয়া ভ্যান কেরখোভ আশা প্রকাশ করেছেন যে, চীনে ডব্লিউএইচও-এর নেতৃত্বে আরও আন্তর্জাতিক মিশন থাকবে।  যে গুলো  বেইজিংয়ের সহযোগিতায় হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভাইরাসটি কীভাবে প্রাণী থেকে

মানুষের মধ্যে প্রবেশ করেছে তা নির্ধারণের জন্য তিন ডজনেরও বেশি সুপারিশকৃত অধ্যয়ন এখনো চালিয়ে যেতে হবে। ডব্লিউএইচও-এর শীর্ষ জরুরি বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেন, নবগঠিত উপদেষ্টা গোষ্ঠীই সম্ভবত কোভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নির্ধারণের শেষ সুযোগ হতে পারে।