ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাগর-রুনি হত্যা: শেষবার  বারের মতো তদন্তে  ছয় মাস সময়  দিলো হাইকোর্ট গণভোটের আদেশ চূড়ান্ত হয়নি, শনিবার ফের বৈঠকে বসবে কমিশন মর্গে তরুণীর মরদেহ ধর্ষণ, আদালতে ডোমের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: মেদভেদেভ পানির নিচ থেকে আড়াই মাস পর ভেসে ওঠলো ঝুলন্ত সেতু হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদদের প্রতি অবিচার হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল  নেটওয়ার্ক এক্স ২০২৫’-এ তিনটি পুরস্কার অর্জন  হুয়াওয়ে বেনাপোলে কোটি টাকার ব্লেড কারসাজি ধরা পড়ল ২৫ দিন পর ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব: সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন মিথুন অতীতের ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

এবারে নিউজিল্যান্ডকেও হারালো টাইগাররা

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অস্ট্রেলিয়ার পর এবারে নিউজিল্যান্ডও হারালো টাইগাররা। প্রথমবারের মত ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র ফরম্যাটে কিউইবধ করলো লাল-সবুজের দল। সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে ৬০ রানে আটকে দিয়ে ৩০ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় সাকিব-মুশফিকরা। এর আগে

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এই সংস্করণে শেষ দশবারের দেখায় প্রত্যেকবারই হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে থাকলো টাইগাররা।

বাংলাদেশ সফরের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতোই হলো নিউজিল্যান্ডের। সফরকারীদের ৬০ রানে অলআউট করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিউইদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জায় ফেলে বাংলাদেশ। এর আগেও তাদের সর্বনিম্ন রান ছিল ৬০, সেটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি

বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন প্রতিপক্ষের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও এটি। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও এটা কোন দলের সর্বনিম্ন স্কোর।

৬১ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে সাবধানী খেলেন টাইগার দুই ওপেনার লিটন-নাঈম। কিন্তু পরের ওভারেই আত্নাহুতি দেন নাঈম শেখ। ১ রান করেই ম্যাকনকির শিকার

হন তিনি। নাঈমের বিদায়ের পর স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরেন লিটন। প্যাটেলের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পড হন তিনি। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাকিব আর মুশফিক মিলে সাবধানী খেলে স্কোর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন। কিন্তু মুশফিকের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েই রবীন্দ্রর প্রথম শিকার হন সাকিব।

৩৩ বলে ২৫ রান করেন তিনি। পরে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ৩০ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১৬ রানে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন সাকিব। এসেই উইকেটের দেখা পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বোল্ড করে ফেরান উইল ইয়াংকে। ১১ বলে ৫ রান করে ফিরেন তিনি। পরের ওভারে নাসুম ফেরান অভিজ্ঞ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। মাত্র ১ রান করেন গ্র্যান্ডহোম। এর দুই

বল পর আবারও উইকেটের দেখা পান নাসুম। ৬ বলে ২ রান করা ব্লান্ডেল তার আর্ম বলে বোল্ড আউট হন।

টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলসের জুটিতে কিউইরা যখন প্রতিরোধ গড়ছে তখনই আবার ছন্দপতন হল নিউজিল্যান্ডের। সাইফউদ্দিনের বোলিংয়ে লেগসাইডের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফিরেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ২৫ বলে ১৮ রান করেন তিনি। এরপরের ওভারে

সাকিব এসে সাজঘরে ফেরান কোল ম্যাকননচিকে। ৩ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি ম্যাকননচি। এটি সাকিবের দ্বিতীয় উইকেট।

হেনরি নিকোলসের কাঁধেই ছিল নিউজিল্যান্ডকে টেনে তোলার দায়িত্ব। কিন্তু তিনিও ফিরেন দ্রুত। সাইফউদ্দিনের স্লো বলে উড়িয়ে মেরে ধরা পড়েন মুশফিকের হাতে। ১টি চারের মারে ২৪ বলে ১৭ রান আসে নিকোলসের ব্যাট থেকে।

সাইফউদ্দিনের ২ উইকেটের পর প্রথম উইকেটের দেখা পান মোস্তাফিজ। এজাজ প্যাটেলকে ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন। ৬ বলে মাত্র ৩ রান করেন এজাজ। একই

ওভারের পঞ্চম বলে ফেরান ডগ ব্রেসওয়েলকে। তার ব্যাট থেকে ৭ বলে ৫ রান আসে। এরপর ডাফিকে ফিরিয়ে মাত্র ৬০ রানে কিউইদের ইনিংসের সমাপ্ত করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এই ম্যাচে জিতে বাংলাদেশের সফলতম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হলেন মাহমুদউল্লাহ। ১১ টি-টোয়েন্টি জিতে মাশরাফিকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। ১০টি জয় নিয়ে মাহমুদউল্লাহর পরেই

আছেন মাশরাফি। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১০ জয় এসেছে ২৮ ম্যাচে। মাহমুদউল্লাহর ১০ জয় এসেছে ২২ ম্যাচে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এবারে নিউজিল্যান্ডকেও হারালো টাইগাররা

আপডেট সময় : ১১:২৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১

অস্ট্রেলিয়ার পর এবারে নিউজিল্যান্ডও হারালো টাইগাররা। প্রথমবারের মত ক্রিকেটের এই ক্ষুদ্র ফরম্যাটে কিউইবধ করলো লাল-সবুজের দল। সফরকারী নিউজিল্যান্ডকে ৬০ রানে আটকে দিয়ে ৩০ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় সাকিব-মুশফিকরা। এর আগে

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম এই সংস্করণে শেষ দশবারের দেখায় প্রত্যেকবারই হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে থাকলো টাইগাররা।

বাংলাদেশ সফরের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতোই হলো নিউজিল্যান্ডের। সফরকারীদের ৬০ রানে অলআউট করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিউইদের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জায় ফেলে বাংলাদেশ। এর আগেও তাদের সর্বনিম্ন রান ছিল ৬০, সেটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি

বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন প্রতিপক্ষের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডও এটি। মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামেও এটা কোন দলের সর্বনিম্ন স্কোর।

৬১ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে সাবধানী খেলেন টাইগার দুই ওপেনার লিটন-নাঈম। কিন্তু পরের ওভারেই আত্নাহুতি দেন নাঈম শেখ। ১ রান করেই ম্যাকনকির শিকার

হন তিনি। নাঈমের বিদায়ের পর স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরেন লিটন। প্যাটেলের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পড হন তিনি। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সাকিব আর মুশফিক মিলে সাবধানী খেলে স্কোর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন। কিন্তু মুশফিকের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়েই রবীন্দ্রর প্রথম শিকার হন সাকিব।

৩৩ বলে ২৫ রান করেন তিনি। পরে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ৩০ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১৬ রানে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন সাকিব। এসেই উইকেটের দেখা পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বোল্ড করে ফেরান উইল ইয়াংকে। ১১ বলে ৫ রান করে ফিরেন তিনি। পরের ওভারে নাসুম ফেরান অভিজ্ঞ কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। মাত্র ১ রান করেন গ্র্যান্ডহোম। এর দুই

বল পর আবারও উইকেটের দেখা পান নাসুম। ৬ বলে ২ রান করা ব্লান্ডেল তার আর্ম বলে বোল্ড আউট হন।

টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলসের জুটিতে কিউইরা যখন প্রতিরোধ গড়ছে তখনই আবার ছন্দপতন হল নিউজিল্যান্ডের। সাইফউদ্দিনের বোলিংয়ে লেগসাইডের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফিরেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ২৫ বলে ১৮ রান করেন তিনি। এরপরের ওভারে

সাকিব এসে সাজঘরে ফেরান কোল ম্যাকননচিকে। ৩ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি ম্যাকননচি। এটি সাকিবের দ্বিতীয় উইকেট।

হেনরি নিকোলসের কাঁধেই ছিল নিউজিল্যান্ডকে টেনে তোলার দায়িত্ব। কিন্তু তিনিও ফিরেন দ্রুত। সাইফউদ্দিনের স্লো বলে উড়িয়ে মেরে ধরা পড়েন মুশফিকের হাতে। ১টি চারের মারে ২৪ বলে ১৭ রান আসে নিকোলসের ব্যাট থেকে।

সাইফউদ্দিনের ২ উইকেটের পর প্রথম উইকেটের দেখা পান মোস্তাফিজ। এজাজ প্যাটেলকে ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করেন। ৬ বলে মাত্র ৩ রান করেন এজাজ। একই

ওভারের পঞ্চম বলে ফেরান ডগ ব্রেসওয়েলকে। তার ব্যাট থেকে ৭ বলে ৫ রান আসে। এরপর ডাফিকে ফিরিয়ে মাত্র ৬০ রানে কিউইদের ইনিংসের সমাপ্ত করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

এই ম্যাচে জিতে বাংলাদেশের সফলতম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হলেন মাহমুদউল্লাহ। ১১ টি-টোয়েন্টি জিতে মাশরাফিকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। ১০টি জয় নিয়ে মাহমুদউল্লাহর পরেই

আছেন মাশরাফি। মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১০ জয় এসেছে ২৮ ম্যাচে। মাহমুদউল্লাহর ১০ জয় এসেছে ২২ ম্যাচে।