আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা

- আপডেট সময় : ০৬:২৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫ ১৯০ বার পড়া হয়েছে
আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার কথোপকথনের এই ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং যাচাই-বাচাই করে বিবিসি। ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং থেকে জানা যায়, গত গ্রীষ্মে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন।
অজ্ঞাত একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের ফাঁস হওয়া এই অডিওটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ যে, তিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের গুলি করার জন্য সরাসরি অনুমতি দিয়েছিলেন। চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিক্ষোভ দমনে নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশনে এই তথ্য ওঠে আসে। সে সময়ের ফোনালাপ বিশ্লেষণ করে নৃশংসতার ঘটনায় তার সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ফোন কলের অডিওর সত্যতা যাচাই করেছে বিবিসি আই। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বিবিসি। অডিওটির মেটাডাটাসহ যাবতীয় খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখেছে বিবিসি আই।
চলতি বছর মার্চ মাসে অনলাইনে ফাঁস হওয়া সেই অডিওতে শেখ হাসিনাকে একজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বলতে শোনা যায়, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মারণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে। হাসিনার অনুপস্থিতিতেই এই বিচার চলছে।
৩৬ দিনের আন্দোলনের সময়কার শত শত ভিডিও, ছবি, ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করেছে বিবিসি। সিসিটিভি ফুটেজ, ড্রোন ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় তারা দেখিয়েছে, পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালায়। ফাঁস হওয়া অডিওটি সম্পর্কে জানেন এমন একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, গত ১৮ জুলাই নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে শেখ হাসিনা সেই ফোনালাপটি করেন।
জাতিসংঘের তদন্তকারীদের মতে, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়। শেখ হাসিনার পাশাপাশি, বিক্ষোভকারীদের হত্যাকাণ্ডে সাবেক সরকার ও পুলিশের কর্মকর্তাদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আইসিটি মোট ২০৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে, যাদের মধ্যে ৭৩ জন বর্তমানে গ্রেপ্তার রয়েছেন।