অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গতিশীলের অঙ্গীকার মার্কিন কোম্পানিগুলোর

- আপডেট সময় : ০৯:৫৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৪১ বার পড়া হয়েছে

ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ছবি: পিআইডি
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার নোবেল জয়ী ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে এক্সেলারেট এনার্জি, মেটা, ভিসা, শেভরন, উবার, মেটলাইফ, মাস্টারকার্ড, বোয়িং এবং ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা এ অঙ্গীকার করেন
বাংলাদেশ-মার্কিন অর্থনৈতিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গতিশীল করতে শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলোর অঙ্গীকার করেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন মার্কিন প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন, বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও এক্সেলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর পিটার হাস।
প্রতিনিধি দলে মেটা, ভিসা, শেভরন, উবার, মেটলাইফ, মাস্টারকার্ড, বোয়িং এবং ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
এক্সেলারেট এনার্জি বর্তমানে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের অধীন ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারত্বকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করে এবং দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিকভাবে লাভজনক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়।
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের ফাঁকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে মার্কিন কোম্পানিগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় মার্কিন কোম্পানিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এই অগ্রযাত্রার ভিত্তি হল স্থিতিশীলতা, উদ্যোক্তা মনোভাব এবং টেকসই সমৃদ্ধি।
সরকারপ্রধানের দপ্তর বলছে, প্রতিনিধিদল বাণিজ্য ও অ-বাণিজ্য বাধা দূর করতে সরকারের গৃহীত অর্থনৈতিক সংস্কারমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানায়।

প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও এক্সেলারেট এনার্জির স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজর পিটার হাস। ছবি: পিআইডি
যুক্তরাষ্ট্রের ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (ডিএফসি) সাবেক ডেপুটি সিইও এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী মার্কিন কোম্পানিগুলোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে মার্কিন কোম্পানিগুলোর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রেক্ষাপটে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আলোচনায় শক্ত অবস্থানে থাকুক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্য উন্নয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে একসাথে কাজ করার আগ্রহ জানায়।
মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের উন্নয়নে মার্কিন কোম্পানিগুলোর অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।