নগদ-ডিআরইউ বর্ষসেরা রিপোর্ট পুরস্কার, পেশাগত উৎকর্ষতায় নতুন দিগন্ত

- আপডেট সময় : ০২:২৫:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
আমিনুল হক ভূইয়া, ঢাকা
সাংবাদিকতা কোনো পেশা নয়, এটি দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার এক চিরন্তন প্রকাশ। সমাজ বদলের হাতিয়ার হিসেবে সংবাদমাধ্যমের এই অগ্রযাত্রাকে সম্মান জানাতেই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজন করে বর্ষসেরা রিপোর্ট পুরস্কার। ২০২৫ সালের জন্য ঘোষিত এ পুরস্কারে এবারও সহযাত্রী হয়েছে দেশের অন্যতম ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ।
ডিআরইউ কার্যালয়ের শফিকুল কবির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এবারের আয়োজনের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও নগদের প্রতিনিধিরা। এতে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালে আকন, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান সোহেল, নগদ-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) সাইমন ইমরান হায়দার এবং হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনস মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম।
এবারের বর্ষসেরা রিপোর্ট পুরস্কারে প্রিন্ট, অনলাইন, টেলিভিশন ও রেডিও এই চারটি মাধ্যমে ২৫টি বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি সব ধরনের মিডিয়ার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে দুটি বিশেষ পুরস্কারসহ মোট ২৭টি শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদনের জন্য সম্মাননা প্রদান করা হবে।

প্রতিটি রিপোর্ট জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে প্রকাশিত বা প্রচারিত রিপোর্টগুলো আগামী ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ডিআরইউ কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
সংশ্লিষ্ট রিপোর্টগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গঠন করা হয়েছে ১০ জন বিশিষ্ট জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের একটি নিরপেক্ষ কমিটি। যাঁরা পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার আলোকে বিজয়ী নির্বাচনে ভূমিকা রাখবেন।
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালে আকন বলেন, রিপোর্টারদের সম্মানিত করার এই প্রয়াস সাংবাদিকতা পেশাকেই এগিয়ে নেওয়ার একটি সুদৃঢ় পদক্ষেপ। সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকেই আমরা এ চর্চা অব্যাহত রেখেছি।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান সোহেল জানান, এবারের আয়োজনে আমাদের অংশীদার নগদ যা ইতোমধ্যেই দেশের ডিজিটাল লেনদেন খাতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। এমন একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্ব আমাদের আয়োজনকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করেছে।

তিনি আরও জানান, বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে আগামী এক মাসের মধ্যেই একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানের স্থান ও সময় পরবর্তীতে ডিআরইউ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হবে।
নগদ-এর সিএমও সাইমন ইমরান হায়দার বলেন, নগদ সব সময় এমন কাজের সঙ্গে থাকতে চায়, যা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সাংবাদিকদের রিপোর্টই সমাজ বদলের অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। তাই আমরা বারবার এই আয়োজনের সঙ্গে থাকছি। এটি শুধুই কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব নয়, বরং একটি দায়িত্বশীল দেশীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতার অংশ। তিনি ডিআরইউ ঘিরে স্মৃতিচারণাও করেন, যা পুরো আয়োজনের আবহকে মানবিকতা ও উষ্ণতায় ভরিয়ে তোলে। নগদের অঙ্গীকার ইতিবাচক পরিবর্তনের সঙ্গী।
ডিআরইউ ও নগদ-এর যৌথ উদ্যোগ শুধু পুরস্কার বিতরণ নয়, বরং এটি সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ও গভীর পর্যবেক্ষণভিত্তিক অনুসন্ধানে উৎসাহ দেওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। সংবাদপত্র বা টিভি রিপোর্ট কেবল তথ্য নয়, প্রভাব সৃষ্টির মাধ্যম যা সমাজ বদলাতে পারে, প্রশ্ন তুলতে পারে, আবার সমাধানের পথও দেখাতে পারে।
এই আয়োজন সে দৃষ্টিকোণ থেকেই এক অনন্য উদাহরণ। ডিআরইউ ও নগদের এই মহৎ উদ্যোগ সাংবাদিকতাকে যেমন পেশাগত উৎকর্ষতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তেমনি উৎসাহ দিচ্ছে সত্যনিষ্ঠ ও জনকল্যাণমুখী রিপোর্ট তৈরিতে।