ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেনেভায় পাক দূতাবাসে ২০ বছর ধরে কর্মীদের বেতন না দেওয়ার অভিযোগ

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১ ১০৮ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
 পাকিস্তানি দূতাবাস
জেনেভায় পাকিস্তানি দূতাবাসে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছয় ফিলিপিনো কর্মীকে বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চুক্তি অনুযায়ী, কর্মীরা সঠিক মজুরি, বাসস্থান এবং সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য হলেও পাকিস্তানি মিশনের বিরুদ্ধে তারা অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।

সুইসইনফো জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বৈধতা কার্ডের অপব্যবহার করেছেন। কর্মকর্তারা তাদের কোনও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই সপ্তাহে ১০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে সম্মত হতে বাধ্য করেছিলেন।’ এছাড়াও জেনেভার মতো শহরে বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ অর্থ দরকার, আর তাই অন্যত্রও কাজ করতে হয়েছিল।

আন্তঃপেশাদার ট্রেড ইউনিয়নের সহায়তায় জেনেভা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, সিট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রধান মিরেলা ফালকো সুইসইনফোকে বলেন, কয়েক দশক ধরে এই গৃহকর্মীরা তাদের বাসস্থানের মর্যাদা হারানোর ভয়ে চুপ করে আছেন। যদি তাদের বরখাস্ত করা হয়, তাহলে তাদের কাছে অন্য কূটনৈতিক নিয়োগকর্তা খুঁজে পেতে দুই মাস সময় রয়েছে। যদি তা না হয়, তাহলে তাদের চলে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

কর্মচারীরা সুইজারল্যান্ডের বিচার মন্ত্রী কারিন কেলার-সাটার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিসের কাছে আবেদন করেছেন। চিঠিতে তারা বিবিন্ন ধরনের অত্যাচার সহ্য করার বর্ণনা দিয়ে সুইস সরকারের কাছে সমর্থন চেয়েছেন।

ইউনিয়ন সরকারকে এই অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করছে, যার মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ে কাজের পরিস্থিতি এবং বাসস্থানের অনুমতি নিয়ন্ত্রণের বিধিমালা কঠোর করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জেনেভায় পাক দূতাবাসে ২০ বছর ধরে কর্মীদের বেতন না দেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
 পাকিস্তানি দূতাবাস
জেনেভায় পাকিস্তানি দূতাবাসে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছয় ফিলিপিনো কর্মীকে বেতন না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চুক্তি অনুযায়ী, কর্মীরা সঠিক মজুরি, বাসস্থান এবং সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য হলেও পাকিস্তানি মিশনের বিরুদ্ধে তারা অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।

সুইসইনফো জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বৈধতা কার্ডের অপব্যবহার করেছেন। কর্মকর্তারা তাদের কোনও ক্ষতিপূরণ ছাড়াই সপ্তাহে ১০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে সম্মত হতে বাধ্য করেছিলেন।’ এছাড়াও জেনেভার মতো শহরে বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ অর্থ দরকার, আর তাই অন্যত্রও কাজ করতে হয়েছিল।

আন্তঃপেশাদার ট্রেড ইউনিয়নের সহায়তায় জেনেভা পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, সিট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রধান মিরেলা ফালকো সুইসইনফোকে বলেন, কয়েক দশক ধরে এই গৃহকর্মীরা তাদের বাসস্থানের মর্যাদা হারানোর ভয়ে চুপ করে আছেন। যদি তাদের বরখাস্ত করা হয়, তাহলে তাদের কাছে অন্য কূটনৈতিক নিয়োগকর্তা খুঁজে পেতে দুই মাস সময় রয়েছে। যদি তা না হয়, তাহলে তাদের চলে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

কর্মচারীরা সুইজারল্যান্ডের বিচার মন্ত্রী কারিন কেলার-সাটার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিসের কাছে আবেদন করেছেন। চিঠিতে তারা বিবিন্ন ধরনের অত্যাচার সহ্য করার বর্ণনা দিয়ে সুইস সরকারের কাছে সমর্থন চেয়েছেন।

ইউনিয়ন সরকারকে এই অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করছে, যার মধ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ে কাজের পরিস্থিতি এবং বাসস্থানের অনুমতি নিয়ন্ত্রণের বিধিমালা কঠোর করা।