চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু, সতর্কতার আহ্বান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের

- আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন–২০২৫’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন।
তিনি বলেন, “২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল তিন লাখের বেশি মানুষ, মৃত্যু হয়েছিল এক হাজার ৭৫০ জনের মতো। ২০২৪ সালে আক্রান্ত হয় এক লাখ পাঁচ হাজারের মতো, মৃত্যুবরণ করে ৫২০ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২০ জন।” তিনি আরও জানান, “ডেঙ্গু পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও সরকারের প্রচেষ্টায় আমরা সফলতার দিকে এগোচ্ছি। লক্ষ্য একটাই—আর যেন একজনও ডেঙ্গুতে মারা না যায়।”
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “ডেঙ্গু এখন মৌসুমি রোগ নয়, এটি সারা বছরব্যাপী ঝুঁকি তৈরি করছে। তাই জনসচেতনতা ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগই একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর জানান, চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেশি হলেও মৃত্যুহার গত বছরের তুলনায় কম। তিনি বলেন, “আমরা দেখছি, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনেই প্রায় ৫০ শতাংশ রোগী মারা যাচ্ছেন। এর মানে তারা অনেক দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসছেন। তাই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের সচেতনতা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মশা উৎপত্তিস্থল ধ্বংস না করলে, যত হাসপাতালই তৈরি হোক—সংক্রমণ কমানো কঠিন হবে। প্রতিটি পরিবারকে নিজেদের আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে, লার্ভা ধ্বংস করতে হবে, রাতে মশারি ব্যবহার করতে হবে।”
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন, নগরায়ণ ও অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ডেঙ্গু বিস্তারের মূল কারণ। তাই চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধান হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে মশা নিয়ন্ত্রণ অভিযান জোরদার করার আহ্বান জানান তারা।