ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতীয় হাই কমিশন উদ্যোগে লালনের মানবতাবাদী দর্শনে আলোকিত ‘লালন সন্ধ্যা’ তিন শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই নয়: এনসিপি ভারত-সমর্থিত ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করলো পাকিস্তান চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫: আইনের কঠোর প্রয়োগে ব্যাপক সাফল্য চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফে শিপিং ব্যয় বাড়ছে, চাপ পড়বে ভোক্তার ওপর ত্রিপুরায় খোয়াই জেলায়ে তিন বাংলাদেশিকে নির্মমভাবে হত্যা হামাস শর্ত না মানলে গাজায় ফের অভিযান চালাবে ইসরায়েল : ট্রাম্প উচ্চ মাধ্যমিকের ফর প্রকাশ, পাসের হার এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন স্মরণ : প্রবাল চৌধুরী সুরের ধ্রুবতারা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা

Rohingya repatriation :  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা চেয়েছেন শেখ হাসিনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা ছবি : জাতিসংঘের ওয়েবসাইট

 

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপুঞ্জের কার্যকর ভূমিকা চাইলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ উপস্থিতি অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তাদের প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তা সর্বস্তরে ব্যাপক হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। মানব পাচার, মাদক চোরাচালানসহ আন্তসীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়ে রয়েছে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেলে (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ২৭ মিনিট) সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া ভাষণে এসব কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয়, জাতিসংঘসহ অন্য অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও একজনও তাদের মাতৃভূমিতে এ পর্যন্ত ফেরত পাঠানো যায়নি।

রোহিঙ্গা সংকট উগ্রবাদকেও ইন্ধন দিতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ সংকট প্রলম্বিত হতে থাকলে তা উপমহাদেশসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অধিবেশনের সভাপতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে গণহারে বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

তাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয়, রাষ্ট্রপুঞ্জসহ অন্য অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের মাতৃভূমিতে এ পর্যন্ত ফেরত পাঠানো যায়নি। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে আরও দুরূহ করে তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Rohingya repatriation :  রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকা চেয়েছেন শেখ হাসিনা

আপডেট সময় : ০৯:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা ছবি : জাতিসংঘের ওয়েবসাইট

 

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাষ্ট্রপুঞ্জের কার্যকর ভূমিকা চাইলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ উপস্থিতি অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। তাদের প্রত্যাবাসনের অনিশ্চয়তা সর্বস্তরে ব্যাপক হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। মানব পাচার, মাদক চোরাচালানসহ আন্তসীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়ে রয়েছে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেলে (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ২৭ মিনিট) সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে বাংলায় দেওয়া ভাষণে এসব কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয়, জাতিসংঘসহ অন্য অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও একজনও তাদের মাতৃভূমিতে এ পর্যন্ত ফেরত পাঠানো যায়নি।

রোহিঙ্গা সংকট উগ্রবাদকেও ইন্ধন দিতে পারে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ সংকট প্রলম্বিত হতে থাকলে তা উপমহাদেশসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অধিবেশনের সভাপতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে আগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে গণহারে বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

তাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয়, রাষ্ট্রপুঞ্জসহ অন্য অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের মাতৃভূমিতে এ পর্যন্ত ফেরত পাঠানো যায়নি। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে আরও দুরূহ করে তুলেছে।