ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজা উপত্যকায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে জীবিত মানুষের কবরস্থান : বিধ্বস্ত গাজায় বেঁচে থাকার লড়াই বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্কিন রণতরী জেরাল্ড  আর ফোর্ড ক্যারিবিয়ানে ৫১তম অঙ্গরাজ্যের বিতর্কে ফের আমেরিকা–ইসরায়েল সম্পর্ক পক্ষপাতদুষ্ট চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভ্যস্ত নই : জ্বালানি উপদেষ্টা মুম্বাইয়ে ট্রান্সজেন্ডার ধৃত নারী,  অভিযুক্ত মানবপাচার-জাল নথি তৈরি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ জনের প্রাণহানি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই আওয়ামী লীগের: প্রেসসচিব হত্যা কান্ডের ১৩ বছরে ১২১ বার পিছিয়েছে মামলার প্রতিবেদন গণভোটের আদেশ চূড়ান্ত হয়নি, শনিবার ফের বৈঠকে বসবে কমিশন

পাকিস্তানে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বাঙালিরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৮৫ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানের করাচিতে প্রায় ২০ লাখ বাঙালি বাস করে বলে ধারণা করা হয়। তারা শহরে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সানিয়া আরিফ, দ্য পাকিস্তান ডেইলি -তে একটি মতামতের অংশে, গত ৫ আগস্ট ঘটা একটি ভয়াবহ ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। যেখানে করাচির মাচার কলোনিতে এক শ্রমিকের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। লাশ পাওয়ার দুই সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হন ওই শ্রমিক।

হত্যার শিকার প্রান্তিক বাঙালি সম্প্রদায়ের লোক। সে করাচি ফিশ হারবারে মাছ পরিষ্কার ও প্যাকিং কারখানায় কাজ করত। তার নিয়োগকর্তার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়, তার পরে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্দেহভাজনরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করার আগে ভয়াবহ নির্যাতন করে।
ঐতিহাসিকরা মনে করেন, করাচি বহু শতাব্দী ধরে অভিবাসীদের শহর। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক বিভাজন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক চাপ এবং রাজ্যের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার ক্রমাগত ক্ষয় এবং আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের ভারী পদচিহ্নও রয়েছে শহরটিতে।

আরিফ বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার নেতৃত্বে করাচিতে সহিংসতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। করাচিতে বাংলাদেশ থেকে ১-২ মিলিয়ন জাতিগত বাঙালি রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে এসেছিল। পাকিস্তান সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ১৯৫১ -এ বলা হয়েছে যে, যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ -এর আগে পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে বসবাস করত, তারা পাকিস্তানের নাগরিক হতে পারবে এবং তাদের সন্তানরা তাদের বংশানুক্রমে পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে।

“পার্লামেন্ট ফেডারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটেড ট্রাইবাল এরিয়াগুলির মূল স্বপ্ন দেখেছিল কিন্তু পাকিস্তানি বাঙালিদের দুর্দশাকে কখনো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়নি। পাকিস্তানি বাঙালিদের জন্য অ্যাকশন কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, পরবর্তী পার্লামেন্টের শপথ নেওয়ার সময় আমাদের কেসটি নজরে আনতে নতুন করে চেষ্টা করতে হবে,”।
বাঙালি সম্প্রদায়ের অধিকাংশই শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানে শ্রমিকরা সবচেয়ে নিপীড়িত শ্রেণী। তারা দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু তারা সন্তোষজনক জীবন যাপনের জন্য যথেষ্ট পারিশ্রমিক পায় না।

সূত্র: এএনআই।
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাকিস্তানে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বাঙালিরা

আপডেট সময় : ১০:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

পাকিস্তানের করাচিতে প্রায় ২০ লাখ বাঙালি বাস করে বলে ধারণা করা হয়। তারা শহরে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সানিয়া আরিফ, দ্য পাকিস্তান ডেইলি -তে একটি মতামতের অংশে, গত ৫ আগস্ট ঘটা একটি ভয়াবহ ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। যেখানে করাচির মাচার কলোনিতে এক শ্রমিকের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। লাশ পাওয়ার দুই সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হন ওই শ্রমিক।

হত্যার শিকার প্রান্তিক বাঙালি সম্প্রদায়ের লোক। সে করাচি ফিশ হারবারে মাছ পরিষ্কার ও প্যাকিং কারখানায় কাজ করত। তার নিয়োগকর্তার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়, তার পরে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্দেহভাজনরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করার আগে ভয়াবহ নির্যাতন করে।
ঐতিহাসিকরা মনে করেন, করাচি বহু শতাব্দী ধরে অভিবাসীদের শহর। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক বিভাজন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক চাপ এবং রাজ্যের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার ক্রমাগত ক্ষয় এবং আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের ভারী পদচিহ্নও রয়েছে শহরটিতে।

আরিফ বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার নেতৃত্বে করাচিতে সহিংসতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। করাচিতে বাংলাদেশ থেকে ১-২ মিলিয়ন জাতিগত বাঙালি রয়েছে। তাদের অধিকাংশই ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে এসেছিল। পাকিস্তান সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ১৯৫১ -এ বলা হয়েছে যে, যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ -এর আগে পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে বসবাস করত, তারা পাকিস্তানের নাগরিক হতে পারবে এবং তাদের সন্তানরা তাদের বংশানুক্রমে পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে।

“পার্লামেন্ট ফেডারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটেড ট্রাইবাল এরিয়াগুলির মূল স্বপ্ন দেখেছিল কিন্তু পাকিস্তানি বাঙালিদের দুর্দশাকে কখনো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়নি। পাকিস্তানি বাঙালিদের জন্য অ্যাকশন কমিটির চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, পরবর্তী পার্লামেন্টের শপথ নেওয়ার সময় আমাদের কেসটি নজরে আনতে নতুন করে চেষ্টা করতে হবে,”।
বাঙালি সম্প্রদায়ের অধিকাংশই শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানে শ্রমিকরা সবচেয়ে নিপীড়িত শ্রেণী। তারা দেশের অর্থনীতির উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু তারা সন্তোষজনক জীবন যাপনের জন্য যথেষ্ট পারিশ্রমিক পায় না।

সূত্র: এএনআই।
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক