সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক এমপি খালেকের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

- আপডেট সময় : ০১:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২ ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছয়জনকে হত্যা, দু’জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সাতক্ষীরার বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক এমপি খালেক মণ্ডলসহ দুইকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোসণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মো. শহিনুর ইসলমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। মামলায় আসামী ছিলেন চারজন। এরমধ্যে খালেক মণ্ডল গ্রেফতার, কমান্ডার আব্দুল্লাহ হেল বাকী শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছিলেন। বিচারচলাকালীন সময়ে অপর দুই আসামি খান রোকনুজ্জামান ও জহিরুল ইসলাম টেক্কা খান পলাতক থাকা অবস্থায় মারা যান। সাতক্ষীরার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যা দায়ে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।
একাত্তর মানেই বাংলাদেশের রক্তাক্ত ইতিহাস! হাজারো মা-বোনের আর্তনাদ আজও যেন বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। একাত্তরে বর্বর পাকিস্তানি সেনাদের দোসর হয়েছিলো বাঙলার কিছু সংখ্যক কুলাঙ্গার। যারা রাজাকার-আলবদর, আলসামস নামে পরিচিত। ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর রাজাকারদের পূর্ণবাসিত করা হয়েছিলো। লাখো মা-বোনের ইজ্জত এবং লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লালসবুজে খচিত পতাকা উড়েছিলো ঘাতকদের (রাজাকার) গাড়িতে। এই লজ্ঝার ইতিহাস ঢেকে দিয়েছেন জাতিরজনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার দুদর্শিতায় বাংলাদেশ আজ মাথা উচু করা অর্থনীতির দেশ। শেখ হাসিনা দেশপরিচালনার দায়িত্বে আসার পর রাজাকার তথা একাত্তরের মানবতাবিরোধী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে একে একে বিচারের আওতায় আনা হয়। এরই মধ্যে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।