রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ১১টি পশ্চিমা দেশের প্রতিশ্রুতি

- আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পথ খোঁজার শ্রুতি দিয়ে ১১টি পশ্চিমা দেশর মিশন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গিকার। বাংলাদেশের কক্সবাজারের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে।
রোহিঙ্গারা যে নিজেদের মাতৃভূমি মিয়ানমারের রাখাইনে ফিরতে চায়, সে কথা তুলে ধরে তাদের প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজে বের করার অঙ্গীকার জানিয়েছে পশ্চিমা বিশ্বের ১১ দেশ। রোহিঙ্গা সংকটের ৮ বছর পূর্তিতে সোমবার ঢাকায় দেশগুলোর মিশন যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ফ্রান্স দূতাবাস তাদের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেইসবুক পেইজে ওই যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। ফ্রান্স ছাড়াও বিবৃতিদাতা দেশগুলোর মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড।
দেশগুলো বলছে, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে চলমান মানবিক সংকটের সমাধানে আগামী মাসে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠেয় উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা সংকটের ৮ বছর পূর্তিতে আমরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সেই কর্মকাণ্ডকে স্মরণ করি, যার ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, এবং বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে নতুন নতুন আগমন অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংলাপ উদ্বোধন করে দেশটির প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে, রবিবার থেকে কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সংলাপ স্টেকহোল্ডার্স ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন শুরু হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় হোটেল বে ওয়াচে সোবার সংলাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য সাত দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নিপীড়ন ও বাস্তুচ্যুতি থামাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ড. ইউনূস বলেছেন, ২৬’র ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে দেশটির কক্সবাজারে সোমবার রোহিঙ্গা সংলাপের উদ্বোধনী আয়োজনে ড. ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত।
সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এক বছর আগে ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞ এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর, বর্তমানে দেশ যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ইউনূস বলেন, আমরা এখন আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আছি। এক বছর আগে আমরা এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সাত দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।