রাষ্ট্রপুঞ্জে গণহত্যা নিয়ে প্রদর্শনী পাকিস্তানের দাবি বানোয়াট
- আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের সহযোগিতায় গণহত্যার ওপর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রথমবারের মতো আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা বিশ্বের অন্যতম গণহত্যা। আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের চালানো গণহত্যার ছবি নিয়ে গত মার্চে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ মিশন।
জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত চিত্রপ্রদর্শনীটি জাতিসংঘ সদরদপ্তরের পূর্ণ সহযোগিতায় এবং প্রতিষ্ঠানটির সকল নিয়ম মেনেই আয়োজন করা হয়েছে। নিয়ম না মেনে বা ইতিহাস বিকৃত করে প্রদর্শনী আয়োজন করায় জাতিসংঘ প্রদর্শনী বন্ধ এবং বিতর্কিত ছবিগুলো নামিয়ে ফেলা হয় বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে তা সত্য নয়, বরং নিতান্তই বানোয়াট।
বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানিয়ে বলা হয়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ মিশন কর্তৃক আয়োজিত ৭১-এর গণহত্যা বিষয়ক চিত্রপ্রদর্শনী প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মন্তব্য বিদেমমন্ত্রকের গোচরে এসেছে। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির পর এবারই প্রথম জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ১৯৭১ সালে গণহত্যার শিকার শহীদদের সম্মানে এ ধরনের চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ২৯ মার্চ প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখেন। তিন দিনব্যাপী চলা এই প্রদর্শনী ৭১-এর গণহত্যা বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে বলে বিদেশমন্ত্রকের বিশ্বাস।
ঐতিহাসিক এই আয়োজন সফল করতে সকল সহযোগিতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ মিশন ঢাকাস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। ৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে বিদেশমন্ত্রক নানামুখী প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।


















