মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে : সেনা সদর দপ্তর

- আপডেট সময় : ০৯:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা সদর দপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার সেনা সদরে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
মি. হাকিমুজ্জামান জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।
এদের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআরে, আর কর্মরত ১৫ জনকে সেনাসদর হেফাজতে নিয়েছে। হাকিমুজ্জামান জানান, ৮ অক্টোবর চার্জশিট দাখিলের পর সেনা সদর ১৬ জনকে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়। ১৫ জন উপস্থিত হলেও মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ নিখোঁজ রয়েছেন। দুই মামলার প্রধান আসামি হিসেবে নাম এসেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
তার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের কয়েকজন সাবেক মহাপরিচালকসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে।
গুম কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম ও নির্যাতনের নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া ডিজিএফআই, র্যাব, ডিবি ও পুলিশের কয়েকটি ইউনিটের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়ায় গুমের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান অনুমোদন দিয়েছে।
এর মধ্যে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৭ জন এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) বন্দি রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৩ জন আসামি। ৮ অক্টোবর চার্জশিট দাখিলের পর এলপিআর ও সার্ভিসে থাকা ১৬ জনকে সেনাসদরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
৯ অক্টোবরের মধ্যে তাদের আসার জন্য নোটিস দেওয়া হয়। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত হয় এবং তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা পরিবার থেকে আলাদা রয়েছেন। সিটিআইবি ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক কবীর আহাম্মদের বিষয়ে মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।