বাংলাদেশ ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড গড়বে
- আপডেট সময় : ১০:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ ৩০০ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগৃহিত
চা বাগান বলতে চোখের সামনে যে দৃশ্য ভেসে ওঠে, সেই রকমের গতানুগতি ধারায় বাংলাদেশের চা বাগানকে ফেলা যাবে না। এখানের চা বাগান নান্দনিক, মনোমুগ্ধকর। বাংলাদেশের চা বাগানে বেড়াতে গিয়ে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। মনে হবে প্রকৃতির সবুজের বিছানা।
প্রকৃতিক এই সম্পদ বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। এখানের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিশাল বিশাল চা বাগান। যেখানে একটি পাতা দুটি কোরি সঙ্গে জড়িয়ে আছেন হাজারো শ্রমিক।
এবারের মৌসুমের শেষে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চায়ের উৎপাদন ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড গড়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২০১৯ সালে ৯ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। তবে এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দেশে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়ে ডিসেম্বর নাগাদ আরও একটি রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার আশা করছেন বাগান মালিকরা।
বাংলাদেশের ১৬৭ টি চা-বাগানের মধ্যে বৃহত্তর সিলেটেই রয়েছে ১৩৬ টি। এবার মৌসুমের শেষ দিকেও সিলেটের বাগানগুলোতে চলছে চা-চয়ন এর ধুম। নারী-পুরুষ চা শ্রমিকরা ‘পাতি’ তুলছেন মহাখুশিতে। এবার অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এখনও চা গাছে কুঁড়ি গজাচ্ছে। তাই বাগান সংশ্লিষ্টরা এবার বড় অর্জনের স্বপ্নে দেখছেন।

চায়ের উৎপাদন ভালো হলেও বাজার মূল্য প্রতি কেজি মাত্র ১৯০-১৮৬ টাকা। এতে বাগান মালিকরা পুষিয়ে ওঠা কষ্টসাধ্য বললেন, বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশনের নর্থ সিলেট ভ্যালির চেয়ারম্যান নোমান হায়দার চৌধূরী। তিনি আরও জানান, সিলেট অঞ্চলে তাদের ২২টি বাগানেও উৎপাদন ভালো হয়েছে।
এদিকে চা বোর্ড সূত্রের খবর, ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন কেজি। জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চা উৎপাদন হয় ৩৮ দশমিক ৩১ মিলিয়ন কেজি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ ভাগের অনেক বেশী।

সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন কেজি চা পাতা উৎপাদন হবে। যা হবে দেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড। অন্যান্য বছর এমন সময় কুয়াশার কারণে চা পাতা উৎপাদন অনেকটাই হ্রাস পায়। অথবা বৈরী আবহাওয়ার কারণে রেড ষ্পাইডার আক্রমণ করে। এবার বাগানগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে অনেকটাই মুক্ত।






















