ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দিওয়ালিতে কার্বাইড গান বাজি ফেটে অন্ধ বহু শিশু-কিশোর জাতীয় নির্বাচন  পিছিয়ে গেলেও আগে গণভোট চায় জামায়াত সোনা রঙ ধানে আলোকিত মাঠ সিলেটে কৃষকের মুখে হাসি কিমের সতর্ক বার্তা? ট্রাম্পের সফরের ঠিক আগেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা প্রবীণদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিতে দীর্ঘমেয়াদি যত্নব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতের ১৮ দফা সুপারিশ নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগে জোর ভিসতা-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব ২০২৫ কল ব্রিজে চ্যাম্পিয়ন মহিন, রানার আপ সালেহ হালদা রক্ষায় গেজেট পরিবর্তন করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় ট্রেনের ইঞ্জিন  উল্টে  নিরাপত্তা কর্মী নিহত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর

বাংলাদেশ ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড গড়বে

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ ৩০০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগৃহিত

চা বাগান বলতে চোখের সামনে যে দৃশ্য ভেসে ওঠে, সেই রকমের গতানুগতি ধারায় বাংলাদেশের চা বাগানকে ফেলা যাবে না। এখানের চা বাগান নান্দনিক, মনোমুগ্ধকর। বাংলাদেশের চা বাগানে বেড়াতে গিয়ে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। মনে হবে প্রকৃতির সবুজের বিছানা।

প্রকৃতিক এই সম্পদ বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। এখানের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিশাল বিশাল চা বাগান। যেখানে একটি পাতা দুটি কোরি সঙ্গে জড়িয়ে আছেন হাজারো শ্রমিক।

এবারের মৌসুমের শেষে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চায়ের উৎপাদন ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড গড়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে ২০১৯ সালে ৯ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। তবে এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দেশে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়ে ডিসেম্বর নাগাদ আরও একটি রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার আশা করছেন বাগান মালিকরা।

বাংলাদেশের ১৬৭ টি চা-বাগানের মধ্যে বৃহত্তর সিলেটেই রয়েছে ১৩৬ টি। এবার মৌসুমের শেষ দিকেও সিলেটের বাগানগুলোতে চলছে চা-চয়ন এর ধুম। নারী-পুরুষ চা শ্রমিকরা ‘পাতি’ তুলছেন মহাখুশিতে। এবার অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এখনও চা গাছে কুঁড়ি গজাচ্ছে। তাই বাগান সংশ্লিষ্টরা এবার বড় অর্জনের স্বপ্নে দেখছেন।

চায়ের উৎপাদন ভালো হলেও বাজার মূল্য প্রতি কেজি মাত্র ১৯০-১৮৬ টাকা। এতে বাগান মালিকরা পুষিয়ে ওঠা কষ্টসাধ্য বললেন, বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশনের নর্থ সিলেট ভ্যালির চেয়ারম্যান নোমান হায়দার চৌধূরী। তিনি আরও জানান, সিলেট অঞ্চলে তাদের ২২টি বাগানেও উৎপাদন ভালো হয়েছে।

এদিকে চা বোর্ড সূত্রের খবর, ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন কেজি। জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চা উৎপাদন হয় ৩৮ দশমিক ৩১ মিলিয়ন কেজি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ ভাগের অনেক বেশী।

সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন কেজি চা পাতা উৎপাদন হবে। যা হবে দেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড। অন্যান্য বছর এমন সময় কুয়াশার কারণে চা পাতা উৎপাদন অনেকটাই হ্রাস পায়। অথবা বৈরী আবহাওয়ার কারণে রেড ষ্পাইডার আক্রমণ করে। এবার বাগানগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে অনেকটাই মুক্ত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড গড়বে

আপডেট সময় : ১০:২২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১

ছবি সংগৃহিত

চা বাগান বলতে চোখের সামনে যে দৃশ্য ভেসে ওঠে, সেই রকমের গতানুগতি ধারায় বাংলাদেশের চা বাগানকে ফেলা যাবে না। এখানের চা বাগান নান্দনিক, মনোমুগ্ধকর। বাংলাদেশের চা বাগানে বেড়াতে গিয়ে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। মনে হবে প্রকৃতির সবুজের বিছানা।

প্রকৃতিক এই সম্পদ বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে। এখানের শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিশাল বিশাল চা বাগান। যেখানে একটি পাতা দুটি কোরি সঙ্গে জড়িয়ে আছেন হাজারো শ্রমিক।

এবারের মৌসুমের শেষে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চায়ের উৎপাদন ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদনের রেকর্ড গড়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে ২০১৯ সালে ৯ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। তবে এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দেশে ১০ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয়ে ডিসেম্বর নাগাদ আরও একটি রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার আশা করছেন বাগান মালিকরা।

বাংলাদেশের ১৬৭ টি চা-বাগানের মধ্যে বৃহত্তর সিলেটেই রয়েছে ১৩৬ টি। এবার মৌসুমের শেষ দিকেও সিলেটের বাগানগুলোতে চলছে চা-চয়ন এর ধুম। নারী-পুরুষ চা শ্রমিকরা ‘পাতি’ তুলছেন মহাখুশিতে। এবার অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এখনও চা গাছে কুঁড়ি গজাচ্ছে। তাই বাগান সংশ্লিষ্টরা এবার বড় অর্জনের স্বপ্নে দেখছেন।

চায়ের উৎপাদন ভালো হলেও বাজার মূল্য প্রতি কেজি মাত্র ১৯০-১৮৬ টাকা। এতে বাগান মালিকরা পুষিয়ে ওঠা কষ্টসাধ্য বললেন, বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশনের নর্থ সিলেট ভ্যালির চেয়ারম্যান নোমান হায়দার চৌধূরী। তিনি আরও জানান, সিলেট অঞ্চলে তাদের ২২টি বাগানেও উৎপাদন ভালো হয়েছে।

এদিকে চা বোর্ড সূত্রের খবর, ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন কেজি। জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চা উৎপাদন হয় ৩৮ দশমিক ৩১ মিলিয়ন কেজি। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ ভাগের অনেক বেশী।

সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ মিলিয়ন কেজি চা পাতা উৎপাদন হবে। যা হবে দেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড। অন্যান্য বছর এমন সময় কুয়াশার কারণে চা পাতা উৎপাদন অনেকটাই হ্রাস পায়। অথবা বৈরী আবহাওয়ার কারণে রেড ষ্পাইডার আক্রমণ করে। এবার বাগানগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে অনেকটাই মুক্ত।