নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে ট্রাম্পের নাম বাদ কেন? জানালো কমিটি

- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা ও পুরস্কারের উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে নেয়া হয়
রাজনৈতিক চাপ কোনোভাবেই বিচারকে বদলায় না
অবশেষে ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে দেয়া হয়েছে; ট্রাম্পের দাবি থাকা সত্ত্বেও কমিটি তার কাছ থেকে বা বাইরের চাপ কখনোই পুরস্কার ঘোষণাকে প্রভাবিত করেনি বলে জানায়।
এই বছরও নরওজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে তারা প্রতিবারই হাজার হাজার চিঠি, অনুরোধ ও প্রচার দেখে; কিন্তু তাদের সিদ্ধান্ত কেবল আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছা ও পুরস্কারের উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে নেয়া হয়, বাইরের রাজনৈতিক চাপ কোনোভাবেই বিচারকে বদলায় না।
ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে তিনি একাধিক সংঘর্ষে শান্তি আনার মাধ্যমে মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন এবং তাই নোবেল পাওয়ার যোগ্য। তবে কমিটি লক্ষ্য করে যে নোবেলের কাঠামো অনুযায়ী পুরস্কারটি ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদি, নথিভুক্ত ও স্বাধীনভাবে যাচাইযোগ্য শান্তিচর্চার ওপর দেওয়া হয়, নির্দিষ্ট কূটনৈতিক ঘটনায় হঠাৎ করে সম্বর্ধনা দেয়ার মানদণ্ড এটা নয়। ফলে যে ক্যাম্পেইন বা মিডিয়া কভারেজ হচ্ছে, তা সিদ্ধান্ত বদলের কারণ হতে পারে না বলে তারা অবস্থান করেছে।
প্রক্রিয়াগত দিক থেকেও কথা আছে, নোবেল কমিটির কাছে যথাযথ প্রমাণ, বৈধ মনোনয়ন এবং স্থিতিশীল অবদান দেখানো প্রয়োজন। কিছু মনোনয়ন সময়সীমার বাইরে এসেছে বা পর্যাপ্ত দলিলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এগুলোও বিবেচনায় আসে বলে সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া কমিটির চেয়ারম্যান জোর্গেন ওয়াটনে ফ্রায়ডেন্স সরাসরি বলেন যে প্রচার-চিঠিপত্র থাকলেও তারা শুধুমাত্র নোবেলের কাজ ও ইচ্ছা মেনে সিদ্ধান্ত নেয়।
সংক্ষেপে বলা যায়, বাইরের চাপ-প্রচারণা ও রাজনৈতিক বক্তব্যসমূহ নোবেল কমিটির কার্যবিধি ও নীতির বাইরে; ট্রাম্পের দাবিগুলো জনপ্রিয় বা বিতর্কিত হলেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নির্ধারিত মানদণ্ডে তার প্রস্তাব যথেষ্ট প্রভাবশালী বা উপযুক্ত হলো না, এজন্যই পুরস্কার মাচাদোর কৃতিত্বের দিকে গিয়েছে।