ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে : সেনা সদর দপ্তর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের নোবেল শান্তি পুরস্কার থেকে ট্রাম্পের নাম বাদ কেন? জানালো কমিটি সাহিত্যাঙ্গনে শোকের ছায়া: চলে গেলেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম প্রজননকালীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই পদ্মা পারে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রির হাট! খুলনার দাকোপে বেড়িবাঁধ ভেঙে ৮ গ্রাম প্লাবিত সংকট, ক্ষতির শতকোটি টাকা ফিলিপাইনে ভূমিকম্প ও বিপর্যয়ের  এক বছরের চিত্র অন্তর্বর্তী সরকার কেন যুদ্ধবিমান কিনছে, চীনের ২০টি জে-১০ সিই ক্রয়ে বিতর্ক ১৫ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ ঐতিহাসিক দলিলে নেতৃত্ব দেবেন ড. ইউনূস

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতীয় সেনাবাহিনীর আয়োজনে আগামী ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের সেনা অবদানকারী দেশগুলির ( ইউএনটিসিসি) প্রধানদের সম্মেলন। এই তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনক্লেভে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ৩২টি দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা এতে অংশ নেবেন।

সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ, সহযোগিতা ও পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার নতুন কৌশল নির্ধারণ করা।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ভারত বরাবরই অন্যতম বড় অবদানকারী দেশ। শান্তিরক্ষায় ভারতের এই উদ্যোগ তার দীর্ঘস্থায়ী বহুপাক্ষিক প্রতিশ্রুতি এবং বসুধৈব কুটুম্বকম বিশ্ব এক পরিবার এই প্রাচীন দার্শনিক বিশ্বাসের প্রতিফলন। এই কনক্লেভের মাধ্যমে ভারত আবারও শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় তার নৈতিক নেতৃত্বকে নতুনভাবে তুলে ধরছে।

সম্মেলনে শান্তিরক্ষার কার্যকারিতা, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। অংশগ্রহণকারীরা আন্তঃকার্যক্ষমতা জোরদার করা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে জননিরাপত্তা রক্ষার কৌশল নিয়ে মতবিনিময় করবেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত

এছাড়া শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমে প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও আস্থা জোরদার করার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ভারতসহ মোট ৩৩টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নেবে। এর মধ্যে  বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ আরও অনেক দেশ।

সম্মেলনে শান্তিরক্ষা ও পারিবারিক স্থিতিস্থাপকতার মানবিক দিক তুলে ধরতে শান্তিরক্ষী সদস্যদের স্বামী-স্ত্রীর জন্য বিশেষ মিথস্ক্রিয়া কর্মসূচির আয়োজন থাকবে। এছাড়া সংস্কৃতি ও মহাদেশের মধ্যে বন্ধন জোরদার করতে ভারত তার ঐতিহ্য ও মানবিক মূল্যবোধের প্রদর্শন করবে।

এই সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য হলো, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সৈন্য-অবদানকারী দেশগুলির বৃহত্তর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি সম্মিলিত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা।

বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। এই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লির ইউএনটিসিসি প্রধানদের সম্মেলন এক নতুন আশা জাগায়, যেখানে সাহস, সহমর্মিতা এবং দায়িত্ববোধের মিশেলে শান্তিরক্ষার ভবিষ্যৎ হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রতিক্রিয়াশীল ও টেকসই।

ভারতের দৃষ্টিতে, শান্তিরক্ষা কেবল কূটনৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি মানবতার প্রতি এক সভ্যতাগত প্রতিশ্রুতি। নীল পতাকার নিচে কর্মরত প্রতিটি শান্তিরক্ষীর প্রতি এই সম্মেলন শ্রদ্ধা জানায় এবং শান্তিময় পৃথিবী গঠনের পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত

আপডেট সময় : ০৮:৩২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ভারতীয় সেনাবাহিনীর আয়োজনে আগামী ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘের সেনা অবদানকারী দেশগুলির ( ইউএনটিসিসি) প্রধানদের সম্মেলন। এই তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কনক্লেভে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা ৩২টি দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা এতে অংশ নেবেন।

সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হলো শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ, সহযোগিতা ও পারস্পরিক আস্থা বাড়ানো। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান জটিল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার নতুন কৌশল নির্ধারণ করা।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে ভারত বরাবরই অন্যতম বড় অবদানকারী দেশ। শান্তিরক্ষায় ভারতের এই উদ্যোগ তার দীর্ঘস্থায়ী বহুপাক্ষিক প্রতিশ্রুতি এবং বসুধৈব কুটুম্বকম বিশ্ব এক পরিবার এই প্রাচীন দার্শনিক বিশ্বাসের প্রতিফলন। এই কনক্লেভের মাধ্যমে ভারত আবারও শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টায় তার নৈতিক নেতৃত্বকে নতুনভাবে তুলে ধরছে।

সম্মেলনে শান্তিরক্ষার কার্যকারিতা, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। অংশগ্রহণকারীরা আন্তঃকার্যক্ষমতা জোরদার করা, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে জননিরাপত্তা রক্ষার কৌশল নিয়ে মতবিনিময় করবেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা সম্মেলন, বিশ্ব শান্তির নতুন দিগন্তে ভারত

এছাড়া শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমে প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও আস্থা জোরদার করার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ভারতসহ মোট ৩৩টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নেবে। এর মধ্যে  বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ আরও অনেক দেশ।

সম্মেলনে শান্তিরক্ষা ও পারিবারিক স্থিতিস্থাপকতার মানবিক দিক তুলে ধরতে শান্তিরক্ষী সদস্যদের স্বামী-স্ত্রীর জন্য বিশেষ মিথস্ক্রিয়া কর্মসূচির আয়োজন থাকবে। এছাড়া সংস্কৃতি ও মহাদেশের মধ্যে বন্ধন জোরদার করতে ভারত তার ঐতিহ্য ও মানবিক মূল্যবোধের প্রদর্শন করবে।

এই সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য হলো, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সৈন্য-অবদানকারী দেশগুলির বৃহত্তর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি সম্মিলিত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা।

বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। এই প্রেক্ষাপটে নয়াদিল্লির ইউএনটিসিসি প্রধানদের সম্মেলন এক নতুন আশা জাগায়, যেখানে সাহস, সহমর্মিতা এবং দায়িত্ববোধের মিশেলে শান্তিরক্ষার ভবিষ্যৎ হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, প্রতিক্রিয়াশীল ও টেকসই।

ভারতের দৃষ্টিতে, শান্তিরক্ষা কেবল কূটনৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি মানবতার প্রতি এক সভ্যতাগত প্রতিশ্রুতি। নীল পতাকার নিচে কর্মরত প্রতিটি শান্তিরক্ষীর প্রতি এই সম্মেলন শ্রদ্ধা জানায় এবং শান্তিময় পৃথিবী গঠনের পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।