ইতালি থেকে গাজামুখো ১০০ ত্রাণকর্মী সহ নতুন নৌবহর

- আপডেট সময় : ০৪:১০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হাতে আগের বহর আটকে যাওয়ার পরও ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় নতুন করে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)। বৃহস্পতিবার এক বার্তায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
এফএফসি জানায়, ইতালি ও ফ্রান্সের পতাকাবাহী দু’টি নৌযান গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালির ওৎরান্তো বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর আরও ৯টি নৌযান যাত্রা শুরু করে। এগুলো শিগগিরই অগ্রবর্তী জাহাজগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে একত্রিত বহর হিসেবে এগোবে।
নতুন এই বহরে ১১টি নৌযান রয়েছে, যেগুলোতে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবী ও ক্রু রয়েছেন। এফএফসি চারটি সংগঠনের জোট— ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা, সুমুদ নুসানতারা।
ইতালির পক্ষ থেকে একটি বহুদলীয় নৌবহর গাজায় পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে, যার সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু ত্রাণকর্মী ও মানবিক সাহায্য উপকরণ।
এই নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ বলে বিবেচিত হচ্ছে, যা গাজার ওপর ইসরাইলের নাবিক অবরোধ ভেঙে সেখানে জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টায় নিয়োজিত।
ইতালি ও স্পেন ইতিমধ্যে তাদের নৌবাহিনী অংশ হিসেবে কিছু জাহাজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে এই নৌবহরকে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থানে আসা পর্যন্ত লোকাল সহযোগিতা দেওয়া যায়।
তবে ইসরাইল ইতিমধ্যে বেশিরভাগ জাহাজকে আটক করার বা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে এবং তাদের দাবি, কোনো জাহাজকে সক্রিয় যুদ্ধ অঞ্চলে যেতে দেওয়া হবে না।
ইতালি প্রধানমন্ত্রীর দিক থেকে এ নৌবহরের মিশনকে “বিরল, বিপজ্জনক ও দায়িত্বহীন” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
গাজায় দীর্ঘদিন থেকে চলমান সংকট ও জনসংখ্যার দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং সাধারণ জনমত হিসাবে এমন নৌবহরের উদ্যোগকে সমর্থন জানানো হচ্ছে।
ইসরাইল এই ধরনের নৌবহরকে যুদ্ধকেন্দ্র হিসেবে দাবি করতে পারে বা তাদের অভিযানকে অবৈধ বলেও সংজ্ঞায়িত করতে পারে।
ইতালির নৌবাহিনী জাহাজ পাঠানো হলেও, তারা সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হবে না এমন শর্ত দিয়েছেন সরকারি পক্ষ।
এ ধরনের নৌবহর আটক বা হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে, বিশেষ করে যখন পদক্ষেপগুলোর ন্যায্যতা ও আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ও ইসরাইলের সেনা ব্যবস্থা নৌবহর হোঁচট লাগিয়ে দিতে পারে।
জাহাজ প্রযুক্তিগত সমস্যায় অনেকে যাত্রা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে — যেমন কিছু জাহাজ যাত্রার মাঝেই সমস্যায় পড়েছে।
ইসরাইল ইতিমধ্যে এমন নৌবহরগুলোর একটি অংশ আটক করেছে এবং কর্মীদের আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও বিতরণের চেষ্টা করছে।