বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলেই আইনী ব্যবস্থা

- আপডেট সময় : ০৭:৪২:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫ ১৫২ বার পড়া হয়েছে
চব্বিশের ৫ই আগস্টে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তিনি সেখানে বসে নানা ধরণের বক্তব্য দিচ্ছেন। এসব বক্তব্য বাংলাদেশের কোন কোন সংবাদমাধ্যম প্রচার করছে। এখন থেকে কোন সংবাদমাধ্যম শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করলেই তাৎক্ষণিক আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের এক সতর্কবার্তায় একথা বলা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন স্বৈরশাসকের ঘৃণা ছড়ায় এমন বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে। বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাংরাদেশের কিছু গণমাধ্যম পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ঘৃণা ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছে। সতর্কবার্তায় অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্ম হলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদ এবং অনলাইন আউটলেটগুলিতে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত অপরাধী এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার এবং প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু গণমাধ্যম বৃহস্পতিবার আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে যেখানে তিনি মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা এ ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়।
বাংলাদেশের আইন অনুসারে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং একই সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে যে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যারা তাদের নেতাদের কার্যকলাপ বা বক্তৃতা প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে। সরকারের তরফে আরও বলা হয়, আমাদের জাতির ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি তৈরির ঝুঁকি নিতে পারি না।
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শেখ হাসিনা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীর গণহত্যার নির্দেশ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগের পরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছে।