World Earth Day : ধরিত্রী দিবস, একমাত্র লক্ষ্য পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় ধরিত্রীকে টিকিয়ে রাখা

- আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২ ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করার র্বাতা গুগলের’
‘পরিবেশ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ২২ এপ্রিল বিশ্বের ১৯৩টি দেশে ধরিত্রী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে’
ড. বিরাজলক্ষ্মী ঘোষ
ধরনী বা ধরা থেকে আসা ধরিত্রী শব্দটির অর্থ পৃথিবী। পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দিবসটি হলো ধরিত্রী দিবস। ১৯৬৯ সালে প্রথম সানফ্রান্সিস্কোতে ইউনেস্কো সম্মেলনে শান্তি কর্মী জন ম্যাককনেল ‘পৃথিবী মায়ের সম্মানে’ একটি দিন উৎসর্গ করার প্রস্তাব করেন।
পরিবেশ রক্ষায় সর্ব প্রথম ১৯৭০ সালে দিবসটি পালিত হয়। বর্তমানে ‘আর্থ ডে নেটওয়ার্ক কর্তৃক’ বিশ্বব্যাপী সমন্বিতভাবে ২২ এপ্রিল ১৯৩টি দেশে প্রতি বছর পালন করা হয়ে থাকে। জানা যায়, ১৯৭০ সালে মার্কিন সেনেটর গেলর্ড নেলসন ধরিত্রী দিবসের প্রচলন করেন। পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারিভাবে এই দিবস পালিত করা হয়।

২০১৬ সালে ধরিত্রী দিবসে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং অন্যান্য ১২০টি দেশ একটি দিকনির্দেশ প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলস্বরূপ ঐতিহাসিক খসড়া আবহাওয়া রক্ষা চুক্তির একটা প্রয়োজনীয় সক্রিয়তার মধ্যে প্রবেশের সহায়তা করেছিলো। প্যারিসে ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ আবহাওয়া পরিবর্তন সম্মেলনে ১৯৫টি দেশের প্রতিনিধিদের সম্মতিতে নেওয়া হয়েছিল।
বর্তমান জলবায়ু-পরিবর্তের যুগে বিশ্ব ধরিত্রী দিবস অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়। পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার মধ্য দিয়ে ধরিত্রীকে টিকিয়ে রাখাই দিবসটির একমাত্র লক্ষ্য। এবারের বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে পরিবেশ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে ‘ডুডল তৈরি করে থাকে গুগল’। এবারের বিশ্ব ধরিত্রী দিবসেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি এবং এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বিশেষ ডুডল করেছে গুগল।
এবারের ধরিত্রী দিবস উপলক্ষে গুগল তার ডুডলের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রতিচ্ছবি প্রকাশ করেছে। ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এড়াতে আরও টেকসইভাবে বাঁচতে সবার একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন’ এমনটিই জানিয়েছে গুগল।
ধরিত্রী দিবসের ডুডলে আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর চূড়ায় হিমবাহ, গ্রিনল্যান্ডে সেরমারসুক হিমবাহের পশ্চাদপসরণ, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ও জার্মানির হার্জ ফরেস্ট থেকে বাস্তব চিত্র প্রদর্শন করছে। যার মাধ্যমে জলবায়ু সংকটের প্রভাব সরাসরি প্রত্যক্ষ করছে সবাই। পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার মাধ্যমে বিশ্বকে টিকিয়ে রাখাই দিবসটির একমাত্র লক্ষ্য।
লেখক : ড. বিরাজলক্ষ্মী ঘোষ শিক্ষাবিদ, পরিবেশ সংগঠক, সমাজচিন্তক এবং সম্পাদক দ্যা ওমেন ভয়েস