The call of the green: ‘ছুটির দিনে সবুজের ডাকে’

- আপডেট সময় : ১০:২১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২ ১৭৩ বার পড়া হয়েছে
ছবি বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় বাবুর ফেস বুক থেকে
‘গানে কবিতায় সবুজের বন্দনা’
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
শান্তিনিকেতন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরে অবস্থিত। সবুজেঘেরা লোকালয়ে নিভৃতে ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে ১৮৬৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যা কিনা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়। ১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। কবিগুরু তার জীবনের দ্বিতীয়ার্ধের অধিকাংশ সময় শান্তিনিকেতন আশ্রমে অতিবাহিত করেছিলেন। তার সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্মে এই আশ্রম ও আশ্রম-সংলগ্ন প্রাকৃতিক পরিবেশের উপস্থিতি সমুজ্জ্বল। শান্তিনিকেতন বিশুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চ্চার এক অনন্য তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।

সবুজকে সঙ্গী করে উদার আকাশের ছাদের তলায় ‘শান্তিনিকেতন’ প্রাঙ্গণ বছরজুড়েই নানা আয়োজনে মুখরিত থাকে। প্রতিনিয়ত নানা দেশের মানুষ প্রাণের তাগিদে ছুটে আসেন কবিগরুর সাধনার তীর্থস্থানে। শুধু কি তাই, কলকাতা ও আশপাশের বিভিন্ন সাংস্কৃতি সংগঠন নানা আয়োজনের প্রসরা সাজিয়ে হাজির হয়ে যায় শান্তিনিকেতনে। দিনভর এসব আয়োজনে মশগুল থেকে দিনান্তে পুরো সপ্তাহের দম নিয়ে ঝরঝরে মনে বাড়ির পথে বাড়ায়।
রবিবার ছুটির দিনে মেঘহীন শ্রাবনে সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার এক আয়োজনে মিলিত হবার দিন। আয়োজনের নামটিও চমৎকার, ‘আমরা সবুজে’র ব্যবস্থাপনায় সুর ও সাধনার আয়োজনে নিবেদন ছিল অনুষ্ঠান ‘বন্ধুর আমন্ত্রনে বন্ধুতা’। শিরোনামেই সফলতা অনুমান করা যায়।
বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, রবিবারে তারা গিয়েছিলেন সোনাঝুড়ি নিভৃত পূর্নিমা নাট্যগ্রামে (শান্তিনিকেতন)। বাদশা মৈত্রর উদ্যোগে সাথে আমাদের গুরু শ্রী কাজল সুর। প্রখ্যাত নেফ্রোলজিস্ট ডা. পার্থ মুখার্জী, বন্ধু ডা. জয়ন্ত ধর, প্রিয় কিংশুক রায়, রত্না রায় এনারা সবাই ছিলেন স্বমহিমায়। প্রাককথনে ডা. মুখার্জী প্রথমেই বেধে দিলেন অনুষ্ঠানের সুর।
সুচনা সঙ্গীতে ডা. ধর অনুষ্ঠানের থিমকে প্রকাশ করলেন। তারপর শ্রী কাজল সুরের ভাবনা ও সংকলন কাব্য গীতি আলেক্ষ্য ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুলে’ এর রুপায়ন করলেন বাদশা মৈত্র, ঈশিতা দাস অধিকারি, মুন্না আহমেদ ও সয়ং কাজল সুর। সঙ্গীত পরিচালনা কিংসুক রায়। অসাধারন কিবোর্ডে দেবাশীষ সাহা। তবলায় পার্থ দা। সস্ত্রীক এলেন কবি হাসমত জালান। তখন গানে কবিতায় সারা নিভৃত গ্রাম রবীন্দ্রময়। অনুষ্ঠান শেষে চপ মুড়ি ভক্ষন। রাতে যদিও ট্রেনে ফেরার টিকিট ছিল। দেবাশীষ দার সাথে ওনার গাড়ীতে ফিরলাম। আসাধারন এক লং ড্রাইভের অভিজ্ঞতা। সেখানেও অরিজিতের গানের সাথে খুনশুটি আর ড্রাইভ। বাড়ী ফিরলাম অসাধারন এক অভিজ্ঞতা নিয়ে।