ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Soybean oil : লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোর পরও মিলছে না ভোজ্যতেল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের সংকটের মাঝেই লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানো হয়। তারপরও ভোজ্যতেল মিলছে না। ফলে রীতিমত হাহাকার চলছে। ঈদকে সামনে রেখে বাজারে যখন ভোজ্যতেলের সংকট ঘনিভূত হচ্ছিল, তখনই বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে লিটারে প্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এরপরও বাজারে সংকট কাঙ্খিত ভোজ্যতেলের। অভিযোগ ওঠেছে দাম বাড়ার আগেই ব্যবসায়ীরা মজুত গড়ে তোলে সংকট সৃস্টি করেছে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, বর্হিবিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে বাড়ানো হয়েছে ভোজ্যতেলের দাম।

এক লাফে লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোয় সাধারণ ভোক্তদের ওপর চাপ পড়বে। তাছাড়া হঠাৎ লিটারে ৩৮ টাকা বৃদ্ধির ফলে সাধারণ ভোক্তদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাম জোট বলছে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে সরকার।

ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করে বাম গণতান্ত্রিক জোট শুক্রবার এক বিবৃতিতে জোট বলা হয়, তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতি সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়। বিবৃতিতে বাম জোটের নেতারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই ‘সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা’ বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। দোকানে কোনো তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়।

ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হয়। বাজারে এমন সংকটের মধ্যেই ভোক্তার স্বার্থ না দেখে বাণিজ্যসচিব ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে তেলের দাম এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকার তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তখন দাম কমানো হয় না। এমনিতেই দুই বছর ধরে করোনা মহামারিকালে দেশবাসী চাকরি হারিয়ে, আয় কমে তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছেন। সেই সময়ে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে জীবন-জীবিকা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

Soybean oil : লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোর পরও মিলছে না ভোজ্যতেল

আপডেট সময় : ০৮:১৫:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২

ছবি সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের সংকটের মাঝেই লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানো হয়। তারপরও ভোজ্যতেল মিলছে না। ফলে রীতিমত হাহাকার চলছে। ঈদকে সামনে রেখে বাজারে যখন ভোজ্যতেলের সংকট ঘনিভূত হচ্ছিল, তখনই বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে লিটারে প্রতি ৩৮ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা আসে। এরপরও বাজারে সংকট কাঙ্খিত ভোজ্যতেলের। অভিযোগ ওঠেছে দাম বাড়ার আগেই ব্যবসায়ীরা মজুত গড়ে তোলে সংকট সৃস্টি করেছে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, বর্হিবিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারে বাড়ানো হয়েছে ভোজ্যতেলের দাম।

এক লাফে লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোয় সাধারণ ভোক্তদের ওপর চাপ পড়বে। তাছাড়া হঠাৎ লিটারে ৩৮ টাকা বৃদ্ধির ফলে সাধারণ ভোক্তদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাম জোট বলছে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে সরকার।

ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র সমালোচনা করে বাম গণতান্ত্রিক জোট শুক্রবার এক বিবৃতিতে জোট বলা হয়, তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জনগণের প্রতি সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয়। বিবৃতিতে বাম জোটের নেতারা বলেন, ঈদের আগে থেকেই ‘সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা’ বাজারে ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। দোকানে কোনো তেল না পাওয়ার চিত্র দেখা যায়।

ঈদের পর সংকট আরও তীব্র হয়। বাজারে এমন সংকটের মধ্যেই ভোক্তার স্বার্থ না দেখে বাণিজ্যসচিব ব্যবসায়ীদের মুনাফার স্বার্থে তেলের দাম এক লাফে বোতলজাত সয়াবিন তেল ৩৮ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল ৪৪ টাকা লিটার প্রতি বাড়ানোর ঘোষণা দেন। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কথা বলে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকার তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তখন দাম কমানো হয় না। এমনিতেই দুই বছর ধরে করোনা মহামারিকালে দেশবাসী চাকরি হারিয়ে, আয় কমে তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছেন। সেই সময়ে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধিতে জীবন-জীবিকা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।