প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এস জয়শঙ্কর : ছবি সংগ্রহ
‘দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে’ ঈদের পর দুই দেশের ট্রেন চলাচল শুরু হবে, বাংলাদেশ ও ভারত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি নিয়ে আলোচনা এগুচ্ছে’
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় পৌছে বিকালে শেখ হাসিনার সরকারী বাস ভবন গণভবনে সাক্ষাত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাক্ষাতকালে দু’দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে দুপুর সোয়া দুটো নাগায় একটি বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌছেন জয়শঙ্কর।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করকে স্বাগত বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান
বিমানবন্দরে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন তাকে স্বাগত জানান। কানেক্টিভিটি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন সংযোগগুলো চালুর ওপর জোর দেন। শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। কোভিড মহামারি বিষয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই এর একটি প্রভাব পড়েছে। তবে সময়মতো পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেক ভালো ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং পর্যটকরাও দেশটিতে আসছেন।
জয়শঙ্কর-মোমেন বৈঠক
শেখ হাসিনা বলেন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত রুট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পারস্পরিক সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ফরেনসার্ভিস একাডেমীকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন ড. এ. কে আবদুল মোমেন ও এস জয়শঙ্কর। এরপর সংবাদিকদের ব্রিফ করা।
সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জয়শঙ্কর বাংলাদেশে ভারতের অর্থায়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সংযোগ খাতের প্রকল্পগুলো শিগগিরই চালুর আশা করেন। ঈদের পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ শুরু হবে। সফররত ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বাংলাদেশ ও ভারত ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা করছে।