Royal Tourism : রয়েল ট্যুরিজমের আতিথেয়তা আপ্লুত ‘ত্রিপুরা খাদি গ্রামোদ্যোগ’ চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য ও তার সফরসঙ্গীরা

- আপডেট সময় : ০১:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২ ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
রয়েল পরিবহন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা ‘রয়েল-মৈত্রী বাস পরিষেবার অপারেট সঞ্জয় কুন্ড ত্রিপুরা খাদি গ্রামোদ্যোগ চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য ও তার সফরসঙ্গীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান
‘রয়েল ট্যুরিজম-এর উদার প্যাকেজ’র সুযোগ নিয়ে সূর্যাস্ত-সূর্যোদয়ের স্থান কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে পা ডুবিয়ে ‘ইলিশ ভাজার স্বাদ নিতে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ’
নিজস্ব প্রতিনিধি
ভারতের প্রান্তিক রাজ্য ত্রিপুরা। ১৯৪৭ সালে বিভাজনের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর ভারতের জমিনে মাথা উঁচু করে দাড়ায় কাঁটা তারের ভেড়া। ত্রিপুরায় একবার নয়, সাত সাতবার পা রেখেছেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রায় ১৫ লাখের বেশি মানুষ ত্রিপুরায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। স্বাধীন বাংলাদেশের জমিনে মিশে আছে ভারতের সৈনিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত। পাঁজর ঘেষা এই রাজ্যটির সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে বিলাস বহুল ‘রয়েল কোচ’ বাস পরিষেবা চালু করেছে। প্রান্তিক রাজ্যটির মানুষকে যাত্রীসেবা নয়, ‘ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে’ সেবা দিয়ে যাচ্ছে রয়েল কোচ পরিষেবা।

ত্রিপুরা খাদি গ্রামোদ্যোগ চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য ও তার সফরসঙ্গীদের শুভেচ্ছা জানান রয়েল-মৈত্রী বাস পরিষেবার আধিকারীকরা
শনিবার অপরাহ্নে ত্রিপুরা খাদি গ্রামোদ্যোগ চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য ও তার সফরসঙ্গীরা ঢাকার আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালে পৌছান। এসময় রয়েল পরিবহন সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা ‘রয়েল-মৈত্রী বাস পরিষেবার অপারেট সঞ্জয় কুন্ড উল্লেখিত কথা বলেন। আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালে ‘রয়েল ট্যুরিজমের তরফে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সঞ্জয় বাবু। এসময় রয়েল ট্যুরিজমের আতিথেয়তায় আপ্লুত হন রাজীব ভট্টাচার্য ও তার সঙ্গীরা। সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশন এবং স্বামীবাগে ইসকন মন্দির ঘুরে দেখেন তারা।
রাজিব বাবু এরপর সপরিবারে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করে বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর তার ওপর দিয়ে কলকাতা যাবো এই ইচ্ছে ানেক দিন থেকেই লালন করছিলাম। তা পূরণ হওয়ায তিনি খুবই খুশি। রাজীব বাবু ও সঙ্গীরা রয়েল ট্যুরিজমের সেবায় তারা মুগ্ধ। সঙ্গী রতন বাবু যিনি ত্রিপুরার নাগেরজালা সোসাইটির একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তিনিতো ‘নাগেলজালায় রয়েল ট্যুজিম-এর’ শাখা করার প্রস্তাবই দিলেন।
রয়েল ট্যুরিজম তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ভ্রমণপিপাসুদের আমন্ত্রণ জানায় ‘ইলিশের বাড়ি বাংলাদেশে’। সংস্থাটির ‘উদার প্যাকেজ’র সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সূর্যাস্ত-সূর্যোদয়ের স্থান কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতে পা ডুবিয়ে ‘ইলিশ ভাজার স্বাদ নিতে পারেন’। কুয়াকাটার নয়নাভিরাম দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। ‘রয়ের ট্যুরিজম’ সময় সাশ্রয়ী প্যাকেজের সুবিধা নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন, কুয়াকাটা, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধাম, ঢাকার জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী, রমনাকালী মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রম, বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আদি মন্দির এবং পাশেই পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জোতিবসুর বাড়ি। এই নারায়ণগঞ্জেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ির বাড়ি। সেখানেও পা রেখে যেতে পারেন।
ঢাকার ইসকন মন্দিরে জগন্নাথ দেবের মূর্তির পাশে রাজীব বাবু
পণ্ডিত অতিশদীঙ্করের ‘পণ্ডিত ভিটা খ্যাত’ স্থানটিও দেখে নিতে পারেন। এই যা ভুলে যাই, গাছেরও প্রাণ আছে-নিশ্চয়ই জানেন, সেই পূজনীয় বিজ্ঞানির নাম ? কি বললেন, জগদ্বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। হ্যাঁ, মানব জীবনের ন্যায় উদ্ভিদেরও যে জীবন আছে, আছে অনুভূতি শক্তি এই আবিষ্কার করেছিলেন এই মহামানব। বিজ্ঞানের এই অমর প্রতিভা জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম মাইক্রোওয়েভ প্রযুক্তির ওপর সফল গবেষণা করেন যার ফলশ্রুতিতে আবিষ্কৃত হয় রেডিও।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈয়কতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়
কলকাতা থেকে রয়েল-মৈত্রী কোচে চেপে পদ্মাসেতু দিয়ে সহজেরই চলে আসতে পারেন ঢাকায়। এখানে দু’দিন সময় কাটিয়ে ফের বিশ্বকবির রাজর্ষী রচনার স্থান ত্রিপুরার উদয়পুর যেতে পারেন। একবার দেখে নেবেন রাজধানীর আগরতলার নাভীতে অবস্থিত মহারাজাদের প্যালেজ ‘উজ্জয়নী’। উজ্জয়নী একটি সমৃদ্ধ যাদুঘর। সচরাচর এমন সমৃদ্ধ যাদুঘর দেখা যায় না। যেখানে মহারাজাদের নানা কর্মকাণ্ড দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে মনে হবে খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। সেখানে ঝলমল করছে রবীন্দ্রনাথ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস।
কলকাতা থেকে সরাসরি আগরতলায় যেতে চান ? আতিথেয়তার দু’বাহু বাড়িয়ে রাখা ‘রয়েল-মৈত্রী’ কোচে চেপে বসুন। পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ঢাকা হয়ে পৌছে যাবেন আগরতলা। আপনার আস্থার সঙ্গী রয়েল ট্যুরিজম। যা নিয়ে সহজেই উচ্চারণ করা যায়, ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু, পা বাড়ালেই পথ’।