Red Zone Dhaka-Rangamati : রেড জোন ঢাকা-রাঙ্গামাটি, ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমন বাংলাদেশে

- আপডেট সময় : ০৯:৪৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২ ১৯০ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থি সামাল দেওয়া কঠিন হবে,
মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে ৯০ ভাগ নিরাপদে থাকা যাবে’
ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমন শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করোনা রোগীই ওমিক্রনে আক্রান্ত। রাজধানী ঢাকা ও পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মাঝারি মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সীমান্ত লাগোয়া ছয় জেলা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে মতে মোট আক্রান্তের ৮৩ শতাংশই ঢাকা বিভাগের। ওমিক্রনের বিস্তাররোধে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে নামছে প্রশাসন। ১১ দফা বিধিনিষেধের মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে রাজনৈতিক ও সামাজিক সভা-সমাবেশ আয়োজনে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল, মাস্কবিহীন চলাচলকারীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানাসহ শাস্তির বিধান। বিধিনিষেধ কার্যকরে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা বলছেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সংক্রমণ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রহীন হলে হাসপাতালের ওপর চাপ বাড়বে। ভোগান্তিতে পড়বে আক্রান্তরা। চিকিৎসা পরিষেবা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। অতীতে তা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
টিকা গ্রহণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মান্যতায় কঠোর বিধিনিষেধ পালন করে সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে যেহেতু ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে হিয়েছে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মান্যতায় অবহেলায় সংক্রমণ হার দ্বিগুণ হবে। সরকার আগে নো মাস্ক, নো সার্ভিস চালু করলেও তা বাস্তবায়নে প্রশাসন সফল হয়নি। এখন যদি মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যায়, তাহলে ৯০ ভাগ নিরাপদে থাকা যাবে। মিল, কল-কারখানাসহ দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি কমবে।