ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বানের জলের তোড়ে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ফেনীতে দুর্ভোগে লাখো মানুষ আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা বিমান বন্দরে পাঞ্জাবির পকেটে মিললো কোটির টাকার সোনা প্রতিরক্ষা শিল্পের বিকাশে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস তুরস্কের হু হু করে বাড়ছে বানের জল, টানা বর্ষণে নির্ঘুম রাত কাটছে ফেণীবাসীর  ৯ জুলাই মশিউর রহমান যাদু মিয়ার ১০১তম জন্মবার্ষিকী তরুণদের ভাবনায় ২৬’র নির্বাচনে বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২১, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে সরকারী সহায়তার চাল পেলো ভোলার ‘বেদে মৎস্যজীবীরা’ কুয়েতে যেতে কোন শ্রমিককে গুণতে হবে আট লাখ টাকা! যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় ২৪ জনের মৃত্যু

Poor people : দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে নিবেদীত বিলকিস সুলতানা

ঋদি হক, ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২ ৩৯২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মানব জীবনের সংক্ষিপ্ত জমিনে ভালো কিছু করার চিন্তা নিয়েই সমাজের অনগ্রসর মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তিনি। ভাবেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কিছু করা সামাজিক দায়িত্বেরই অংশ। সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষেরই কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। অনেকে আবার নিজের অর্থ-সম্পদ অকাতরে বিলিয়ে থাকেন এমন দানশীল ব্যক্তির সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।

সাংগঠনিক আলোচনায় বিলকিস সুলতানা

তবে, নিজের অঢেল ও অর্থ না থাকলেও মানুষের কল্যাণে কাজ করার মতো ব্যক্তিও আমাদের সমাজে রয়েছেন। যিনি নিজের যোগ্যতা ও বিচার-বুদ্ধি দিয়ে অন্যের উপকারে এগিয়ে আসার মানুষিকতা পোষন করেন। মনে করেন এটা তার দায়িত্বেরই একটা অংশ। যারা বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করছেন এবং এ ক্ষেত্রে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, এমন একজন জীবন সংগ্রামী নারীর নাম বিলকিস সুলতানা। তিনি একাধারে সংগঠক, সমাজসেবী এবং সাংস্কৃতি পরিমন্ডলের বাসিন্দা। তিনি জীবনভর কঠোর সংগ্রামী এবং প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করা হার না মানা এক নারী। বিলকিস নিজেকে কখনও অবলা ভাবেন না। তিনি মানুষের অধিকার রক্ষায় রাজপথে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে জানেন। নানা বয়সী মানুষদের সংগঠিত করে মতবিনিময় করেন। তাদের সম্পৃক্ত করেন মানবসেবায়।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়রের সমর্থনে প্রচারণা

মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার প্রেরণাটা আসে তার ভেতর থেকেই। সমাজের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে তিনি মনে করেন, এই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তারও কিছু করার রয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন ‘সমাজ কল্যাণ নারী’ এবং ‘শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন’। এই দুটো সংগঠনের ব্যানারে নিজের কর্মতাণ্ড পরিচালনায় কাজ করছেন।

বিলকিস সুলতানা জানালেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের হাতের কাজ, নারী স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরণের কাজ করছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও নানামুখী প্রশিক্ষণের বিষয়ে নারীদের এগিয়ে নিতে চান। এতে করে নিজের প্রতি সচেতনতার পাশাপাশি হাতের কাজ করেও একজন নারীর সংসারে বাড়তি আয় করা সম্ভব।

শিশুদের উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছেও রয়েছে তার। বিশেষ করে সমাজের অবহেলিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছে তাকে সব সময় তাড়া করে। আর্থ-সমাজিক উন্নয়নে নারী-শিশুর অংশ গ্রহন অপরিহার্য বলে মনে করেন বিলকিস সুলতানা। চট্টগ্রামের বাসিন্দা বিলকিস নিজেকে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়ালে বন্দী না রেখে সমর্পিত হয়েছেন বহুজনের মাঝে শুভ, সুন্দর, কল্যাণের মঙ্গলালোকে। তিনি আমাদের সমাজের শুভবোধের সারথী। পশ্চাৎপদ অনগ্রসর মানুষকে তিনি সামনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন যে-কোন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে।

তিনি মনে করেন নারীরা নানাভাবে কুসংস্কারেরর শিকার। কিছু ধর্মীয় গোড়ামীর কারণেই সমাজ উন্নয়নে নারীরা পুরুষের সমান অবদান রাখতে পারছেন না। বিলকিস তার সীমিত সামর্থের মধ্যেই সেবাব্রত’র মন্ত্রে দু’বাহু বাড়িয়ে দিয়েছেন-এটাই তার জীবনের লক্ষ্য। তার দুয়ার সকাল-সন্ধ্যা সমাজের দুঃস্থ মানুষের জন্য খোলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Poor people : দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে নিবেদীত বিলকিস সুলতানা

আপডেট সময় : ১২:০৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২

মানব জীবনের সংক্ষিপ্ত জমিনে ভালো কিছু করার চিন্তা নিয়েই সমাজের অনগ্রসর মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন তিনি। ভাবেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কিছু করা সামাজিক দায়িত্বেরই অংশ। সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষেরই কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। অনেকে আবার নিজের অর্থ-সম্পদ অকাতরে বিলিয়ে থাকেন এমন দানশীল ব্যক্তির সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।

সাংগঠনিক আলোচনায় বিলকিস সুলতানা

তবে, নিজের অঢেল ও অর্থ না থাকলেও মানুষের কল্যাণে কাজ করার মতো ব্যক্তিও আমাদের সমাজে রয়েছেন। যিনি নিজের যোগ্যতা ও বিচার-বুদ্ধি দিয়ে অন্যের উপকারে এগিয়ে আসার মানুষিকতা পোষন করেন। মনে করেন এটা তার দায়িত্বেরই একটা অংশ। যারা বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করছেন এবং এ ক্ষেত্রে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, এমন একজন জীবন সংগ্রামী নারীর নাম বিলকিস সুলতানা। তিনি একাধারে সংগঠক, সমাজসেবী এবং সাংস্কৃতি পরিমন্ডলের বাসিন্দা। তিনি জীবনভর কঠোর সংগ্রামী এবং প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করা হার না মানা এক নারী। বিলকিস নিজেকে কখনও অবলা ভাবেন না। তিনি মানুষের অধিকার রক্ষায় রাজপথে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে জানেন। নানা বয়সী মানুষদের সংগঠিত করে মতবিনিময় করেন। তাদের সম্পৃক্ত করেন মানবসেবায়।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়রের সমর্থনে প্রচারণা

মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার প্রেরণাটা আসে তার ভেতর থেকেই। সমাজের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে তিনি মনে করেন, এই সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তারও কিছু করার রয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই প্রতিষ্ঠা করেন ‘সমাজ কল্যাণ নারী’ এবং ‘শিশু অধিকার ফাউন্ডেশন’। এই দুটো সংগঠনের ব্যানারে নিজের কর্মতাণ্ড পরিচালনায় কাজ করছেন।

বিলকিস সুলতানা জানালেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের হাতের কাজ, নারী স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরণের কাজ করছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও নানামুখী প্রশিক্ষণের বিষয়ে নারীদের এগিয়ে নিতে চান। এতে করে নিজের প্রতি সচেতনতার পাশাপাশি হাতের কাজ করেও একজন নারীর সংসারে বাড়তি আয় করা সম্ভব।

শিশুদের উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছেও রয়েছে তার। বিশেষ করে সমাজের অবহেলিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছে তাকে সব সময় তাড়া করে। আর্থ-সমাজিক উন্নয়নে নারী-শিশুর অংশ গ্রহন অপরিহার্য বলে মনে করেন বিলকিস সুলতানা। চট্টগ্রামের বাসিন্দা বিলকিস নিজেকে আত্মকেন্দ্রিকতার দেয়ালে বন্দী না রেখে সমর্পিত হয়েছেন বহুজনের মাঝে শুভ, সুন্দর, কল্যাণের মঙ্গলালোকে। তিনি আমাদের সমাজের শুভবোধের সারথী। পশ্চাৎপদ অনগ্রসর মানুষকে তিনি সামনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন যে-কোন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে।

তিনি মনে করেন নারীরা নানাভাবে কুসংস্কারেরর শিকার। কিছু ধর্মীয় গোড়ামীর কারণেই সমাজ উন্নয়নে নারীরা পুরুষের সমান অবদান রাখতে পারছেন না। বিলকিস তার সীমিত সামর্থের মধ্যেই সেবাব্রত’র মন্ত্রে দু’বাহু বাড়িয়ে দিয়েছেন-এটাই তার জীবনের লক্ষ্য। তার দুয়ার সকাল-সন্ধ্যা সমাজের দুঃস্থ মানুষের জন্য খোলা।