ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ২৯ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

Import of chicks and feed : ডিম নয়, বাচ্চা ও ফিড আমদানি হলে ডিম রপ্তানি করা যাবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুরগির বাচ্চা বিক্রি করেই সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে দিনে সাড়ে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ

পোলট্রি ফিড ও বাচ্চা আমদানির সুযোগ দিলে এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। এতে মুরগি ও ডিম কম দামে পাওয়া যাবে।

করপোরেট প্রতিষ্ঠান খামারিদের কথা ভাবেন না, ভোক্তাদের কথা ভাবেন না, দেশের কথা চিন্তা করে না। করপোরেটেরে থাবায় ক্ষুদ্র খামারিরা দিন দিন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন

ডিম আমদানি নয়, করপোরেট সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে মুরগির বাচ্চা ও ফিড আমদানির অনুমোদন দিতে হবে। তাতে বাংলাদেশ ডিম রপ্তানিকারক দেশের খাতায় নাম লেখাতে পারবে

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

মুরগির বাচ্চা বিক্রির শক্ত সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। প্রান্তিক খামারিদের জিম্মি করে করপোরেট সিন্ডিকেট তাদের খেয়াল খুশি মতো মুরগির বাচ্চা ও খাবার (পোল্ট্রি ফিড) বিক্রি করছে। মুরগির বাচ্চা বিক্রি করেই সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে দিনে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠকে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন, বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার।

সুমন হাওলাদার বলেন, ডিম আমদানি নয়, করপোরেট সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে মুরগির বাচ্চা ও ফিড আমদানির অনুমোদন দিতে হবে। তাতে বাংলাদেশ ডিম রপ্তানিকারক দেশের খাতায় নাম লেখাতে পারবে।

বপিএ সভাপতি বলেন, বাচ্চা আমদানি করা হোক, ফিড আমদানি করা হোক। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক বস্তা ফিডের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা। আর সেই ফিড আমরা কিনছি ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ভারতে একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ২৮ টাকা, লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। খামারি যদি বাচ্চা, ফিড, মেডিসিন কম দামে পান, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মুরগি ও ডিমের দাম কমে যাবে। যার সুফলভোগী হবে সাধারণ ভোক্তা।

সুমন হাওলাদার জানান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক উৎপাদন খরচের সঙ্গে মুনাফা যোগ করে প্রতিটি মুরগির বাচ্চার দাম ৩২ টাকা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু এ খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টে রিট করে সেই কমিটি বন্ধ করে দিয়ে তাদের খেয়াল খুশিমতো পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে চলেছে!

 

সরকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়ে কাজ করছে অভিযোগ তুলে ধরে সুমন হাওলাদার বলেন, এসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান খামারিদের কথা ভাবেন না, ভোক্তাদের কথা ভাবেন না, দেশের কথা চিন্তা করে না। করপোরেটেরে থাবায় ক্ষুদ্র খামারিরা দিন দিন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন।

সংগঠনের সভাপতি বলেন, সরকার ডিমের বাজারে অস্থিরতার লাগাম টানতে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এতে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। খামারিরা উৎপাদন কমিয়ে দিলে প্রতিটি ডিমের দাম ২০ টাকায় গড়াতে পারে। কিন্তু পোলট্রি ফিড ও বাচ্চা আমদানির সুযোগ দিলে এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। এতে মুরগি ও ডিম কম দামে পাওয়া যাবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার বলেন, তিন সপ্তাহ আগে একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা বিক্রি হতো ৩৫ টাকায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সেই বাচ্চার দাম বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। এটা কীভাবে হলো? বাচ্চার উৎপাদন খরচ তো বাড়েনি। বাড়লেও এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।

একটি লেয়ারের বাচ্চা ৭৫ টাকা বিক্রি করছে। সোনালি এবং কালার বার্ড একটি বাচ্চার উৎপাদন খরচ ২২ টাকা, খামারিরা কেনেন ৫৮ টাকায়। এভাবে করপোরেট সিন্ডিকেট প্রতিদিন সাড়ে ৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে।

 

 

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

Import of chicks and feed : ডিম নয়, বাচ্চা ও ফিড আমদানি হলে ডিম রপ্তানি করা যাবে

আপডেট সময় : ০৮:১৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মুরগির বাচ্চা বিক্রি করেই সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে দিনে সাড়ে ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ

পোলট্রি ফিড ও বাচ্চা আমদানির সুযোগ দিলে এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। এতে মুরগি ও ডিম কম দামে পাওয়া যাবে।

করপোরেট প্রতিষ্ঠান খামারিদের কথা ভাবেন না, ভোক্তাদের কথা ভাবেন না, দেশের কথা চিন্তা করে না। করপোরেটেরে থাবায় ক্ষুদ্র খামারিরা দিন দিন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন

ডিম আমদানি নয়, করপোরেট সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে মুরগির বাচ্চা ও ফিড আমদানির অনুমোদন দিতে হবে। তাতে বাংলাদেশ ডিম রপ্তানিকারক দেশের খাতায় নাম লেখাতে পারবে

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

মুরগির বাচ্চা বিক্রির শক্ত সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। প্রান্তিক খামারিদের জিম্মি করে করপোরেট সিন্ডিকেট তাদের খেয়াল খুশি মতো মুরগির বাচ্চা ও খাবার (পোল্ট্রি ফিড) বিক্রি করছে। মুরগির বাচ্চা বিক্রি করেই সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে দিনে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার ঢাকায় সাংবাদিক বৈঠকে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন, বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার।

সুমন হাওলাদার বলেন, ডিম আমদানি নয়, করপোরেট সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে মুরগির বাচ্চা ও ফিড আমদানির অনুমোদন দিতে হবে। তাতে বাংলাদেশ ডিম রপ্তানিকারক দেশের খাতায় নাম লেখাতে পারবে।

বপিএ সভাপতি বলেন, বাচ্চা আমদানি করা হোক, ফিড আমদানি করা হোক। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক বস্তা ফিডের দাম ২ হাজার ৭০০ টাকা। আর সেই ফিড আমরা কিনছি ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ভারতে একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম ২৮ টাকা, লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। খামারি যদি বাচ্চা, ফিড, মেডিসিন কম দামে পান, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মুরগি ও ডিমের দাম কমে যাবে। যার সুফলভোগী হবে সাধারণ ভোক্তা।

সুমন হাওলাদার জানান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক উৎপাদন খরচের সঙ্গে মুনাফা যোগ করে প্রতিটি মুরগির বাচ্চার দাম ৩২ টাকা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু এ খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টে রিট করে সেই কমিটি বন্ধ করে দিয়ে তাদের খেয়াল খুশিমতো পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে চলেছে!

 

সরকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়ে কাজ করছে অভিযোগ তুলে ধরে সুমন হাওলাদার বলেন, এসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান খামারিদের কথা ভাবেন না, ভোক্তাদের কথা ভাবেন না, দেশের কথা চিন্তা করে না। করপোরেটেরে থাবায় ক্ষুদ্র খামারিরা দিন দিন নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন।

সংগঠনের সভাপতি বলেন, সরকার ডিমের বাজারে অস্থিরতার লাগাম টানতে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এতে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। খামারিরা উৎপাদন কমিয়ে দিলে প্রতিটি ডিমের দাম ২০ টাকায় গড়াতে পারে। কিন্তু পোলট্রি ফিড ও বাচ্চা আমদানির সুযোগ দিলে এই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে। এতে মুরগি ও ডিম কম দামে পাওয়া যাবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খন্দকার বলেন, তিন সপ্তাহ আগে একটি ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা বিক্রি হতো ৩৫ টাকায়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে সেই বাচ্চার দাম বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। এটা কীভাবে হলো? বাচ্চার উৎপাদন খরচ তো বাড়েনি। বাড়লেও এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।

একটি লেয়ারের বাচ্চা ৭৫ টাকা বিক্রি করছে। সোনালি এবং কালার বার্ড একটি বাচ্চার উৎপাদন খরচ ২২ টাকা, খামারিরা কেনেন ৫৮ টাকায়। এভাবে করপোরেট সিন্ডিকেট প্রতিদিন সাড়ে ৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে।