Flood : বানের জলে সয়লাব সিলেট-সুনামগঞ্জ

- আপডেট সময় : ০৮:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২ ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
‘সিলেট শহরের বহু বাড়িতে রান্না বন্ধ, জল বাড়ছে হু হু করে, ১০৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ’
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
চারিদিকে জল আর জল। বাড়িঘর জলমগ্ন। তলিয়ে গেছে ফসল। আকস্মিক বন্যার কারণে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জলবন্দি লাখো মানুষ। দিন দিন বণ্যা পরিস্থিতির অবণতি ঘটছে।

কয়েকদিনের লাগাতার বর্ষণে আসামে বন্যাপরিস্থিরি মারাত্মকরূপ নিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবর্ষণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বণ্যাপরিস্থিতি মারাত্মকরূপ নিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সিলেটের প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারা বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হু হু করে জল ঢুকছে শহরে নিচু এলাকায়। সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবণতি ঘটেছে। তলিয়ে গেছে সিলেট শহর ছাড়াও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কসহ ১২টি উপজেলার জনপথ। সুরমার জলে তলিয়ে গিয়েছে সিলেট শহর।
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে বুক সমান জল। সুরমা উপচে হু-হু করে জল ঢুকছে শহরে প্রধান প্রধান এলাকায়। বানের জলে সয়লাব হয়ে বহু বাসাবাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সুনামগঞ্জের ছাতক, তাহিরপুর বন্যা পরিস্থিতি অবণতি হচ্ছে। জলবন্ধী হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। আকস্মিক বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এমন তথ্য তুলে ধরে মঙ্গলবার বাংলাদেশের জল উন্নয়ন বোর্ড এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রায় নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ভারতের মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরা প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে করে বাংলাদেশে প্রধান নদ-নদীর জল দ্রুত বাড়ছে। পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, কানাইঘাটে সুরমার জল বিপদসীমার ১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার, সিলেটে ১০ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার অমলশীদে ১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার ও শেওলায় দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে খোয়াইয়ের জল হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রশাসনের তরফে ১০৯ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।