৩০ এপ্রিলের পর বেসরকারি চাল আমদানি বন্ধ

- আপডেট সময় : ০২:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১ ১৪২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, কৃষকদের যাতে ক্ষতি না হয় কারণে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এলসির সময় বেধে দিয়েছে সরকার। বেসরকারিভাবে চাল আমদানির এলসি করার তারিখ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
সোমবার বোরো সংগ্রহ নিয়ে অনলাইনে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমসহ খাদ্য মন্ত্রকের অন্যান্য কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
বোরো মৌসুমে চাল আমদানি অব্যাহত রাখা হবে কিনা এবং রাখলে কৃষকরা কতোটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হবে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমাদের যে বেসরকারি আমদানি সেটা বন্ধ হয়েছে।
বন্ধ হয়েছে বলতে যতটুকু এলসি করেছে সেটা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আমদানি বা আনাতে হবে। যদি না আনতে পারে তাহলে ৩০ এপ্রিলের পরে বেসরকারিভাবে দেশে কোনো চাল ঢুকবে না। কৃষকের যাতে ক্ষতি না হয় সে কথা বিবেচনায় নিয়েই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছি।
কৃষককে ন্যায্য মূল্য দেয়ার জন্য ধান ও চালের দাম বাড়িয়েছেন। এতে চালের দাম ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কিনা জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন বলেন, আমরা সবাই সিন্ডিকেটের কথা বলি কিন্তু সিন্ডিকেট কেউ ধরিয়ে দিতে পারে না। আমরাওতো সিন্ডিকেট পাইনি। যদি চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ ভালো থাকে তাহলে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করে না। যেখানে ২০ হাজার মিল রয়েছে।
সেখানে সিন্ডিকেট করতে পারে না এটা মনে রাখতে হবে। আগে অটোরাইস মিলে ক্রাসিংয়ের পাঁচ গুণের বেশি মজুদ রাখতে পারতো। কিন্তু আমরা এসআরও জারি করে কমিয়ে দিয়েছি। ফলে এখন সেটা তিন গুণের বেশি পারে না। এ তিন গুণের মধ্যে একটা বাজারে থাকবে, ক্রাসিংয়ে থাকবে ও গুদামে থাকবে।
এ অবস্থায় সিন্ডিকেট করে পার পাওয়ার কথা না। আমি আপনাদের অনুরোধ করবো যদি এরকম কোনো কিছুর খবর পান তাহলে দয়া করে আমাদের জানাবেন। আমরাও খোঁজে আছি, গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে। এর পাশাপাশি কোনো ফরিয়া ধান কিনতে গেলে তাকে লাইসেন্স নিতে হবে। একই সঙ্গে কি পরিমাণ ধান কিনলো, তার রির্টানসহ হিসাব দিতে হবে সাত দিন পর পর।