ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
সাগরের নোনা জলে সম্ভবনার হাতছানি। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে ২০১৩ সালে পায়রা বন্দরের দ্বার উদঘাটন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর। এই এলাকায় গড়ে ওঠেছে একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। যার উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। বন্দরকতৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ৪৫ কিলোমিটার চ্যানেলে বছরে প্রায় ২০০ জাহাজ চলাচল করে থাকে। এটির পুরোপুরি নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রতিদিন ৫০টি জাহাজ চলাচল করা সম্ভব হবে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিও উৎপাদনে হাত লাগাবে শিগগির।
রবিবার বিদেশমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং বিদেশ প্রতিমন্ত্রী প্রতমিন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম, বিদেশমন্ত্রকের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ মন্ত্রকের সচিব, মহাপরিচালক এবং পরিচালকদের সঙ্গে নিয়ে পায়রা বন্দর ঘুরে দেখেন ড. মোমেন। এসময় বন্দর এলাকায় একটি বৃক্ষ রোপন করেন ড. মোমেন। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমসহ দেশের সম্ভাবনাকে সারাবিশ্বে তুলে ধরার সুবিধার্থে বিদেশ মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ধারণা অর্জনের জন্য পায়রা বন্দর পরিদর্শনের আয়োজন করা হয় বলে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়।
বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এসময় বলেন, বন্দর পরিদর্শন করার মধ্য দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের কর্মকর্তারা এ বন্দরের কার্যক্ষমতা ও সার্ভিস সম্পর্কে বর্হিবিশ্বে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন। বিশ্বের উন্নত বন্দরের ন্যায় পায়রাবন্দরকে দ্রত মালামাল উঠানো-নামানোসহ উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যম বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাবেন বলে প্রত্যাশা করেন ড. মোমেন।
বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা উপস্থাপন এছাড়াও এবিষয়ে একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। পায়রা বন্দরটি দক্ষিণবঙ্গের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া রামনাবাদ চ্যানেলে স্থাপিত হচ্ছে। এ বন্দর স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের ওপর চাপ কমানো। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়ন।