ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইনী কাঠামোয় আনা হচ্ছে ট্যুর অপারেটরদের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১ ৬৩০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসারে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে হাসিনা সরকার। পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিশ্চিত পরিদর্শন এবং সেখানে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার কাজে হাত লাগিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। একারণে স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের একটি আইনী কাঠামোতে নিয়ে ভাবনা নিয়েও কাজ করছিলো সরকার। সে অনুযায়ী যে আইনী খসড়াটি তৈরি করা হয়, তাতে ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রি সেটির অনুমোদন দিয়েছে।
যাতে বলা হয়েছে, পর্যটকদের সর্বোত্তম পরিষেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় ট্যু’র অপারেটরদের সুপরিকল্পিত ভাবে ট্যুর পরিচালনা করতে পারেন, সেকারণে একটি আইনী কাঠামো প্রয়োজন। বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরস এবং ট্যুর গাইডস (রেজিস্ট্রেশন এবং কন্ট্রোল অ্যাক্ট), ২০২০ অনুমোদনের পর এখন এটি আইনে পরিণত হতে আর কোন বাধা থাকলো না।


মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে ট্যুর কার্যক্রম পরিচালনায় ট্যুর অপারেটর ও গাইড আইনের আওতায় পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
ট্যুর অপারেটর কীভাবে পরিচালনা করা হবে, দেশি-বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের কীভাবে অনুমোদন দেয়া হবে, কীভাবে নিবন্ধন দেয়া হবে-আইনে এসব উল্লেখ করা হয়েছে এবং আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া ট্যুর পরিচালনাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাসের জেল বা ২ লাখ টাকা বা উভয় দন্ড বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্যুর অপারেটররা যদি কোনো অপরাধ করে তাহলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদন্ড ছাড়া সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অপরাধের বিচার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যাবে।

নিবন্ধন ছাড়া ট্যুর অপারেশন করা যাবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নিবন্ধনের জন্য কি কি যোগ্যতা তা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। সনদ প্রদানের জন্য সরকার একটি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ গঠন করবে। তিনি বলেন, পর্যটকদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে আইন করা হয়েছে। এর অধীনে একটি গাইডলাইন করা হবে। কোন সেবা কত টাকার মাধ্যমে পাওয়া যাবে, এগুলো পরিষ্কার হবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইডের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।


খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা ধীরে ধীরে যত উন্নত দেশের দিকে যাব, আমাদের সেবাগুলো তত উন্নত হতে থাকবে। সেবাখাত বিনিয়োগের একটা বড় ক্ষেত্র হবে। এজন্য আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের মাধ্যমে পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সেবা প্রাপ্তি সহজ হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। কারণ, অনেক বড় বড় ইনফরমাল ট্যুর হচ্ছে কিন্তু কোনো ভ্যাট বা ট্যাক্স সরকারের খাতে জমা হচ্ছে না। এজন্য যত নিবন্ধন ও ট্যুর হবে সবগুলো রাজস্ব বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলে আসবে।
এদিন বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রফতানি আয় বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চার বছরের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ খাতের কর্মী সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ করারও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 


তিনি বলেন, জাহাজ নির্মাণ খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি, এই শিল্প সংশ্লিষ্ট নানাবিধ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশ, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি নির্ভরতা হ্রাস, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্পের টেকসই বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনাসহ জাহান নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

নীতিমালার মূল লক্ষ্যগুলো আলোচনায় এনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় জাহাজ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে বিশ্ব জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উপযুক্ত অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলা হবে এই নীতিমালার লক্ষ্য।
এছাড়া, অধিক বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রফতানি খাতের অবদান ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। এখন জাহাজ রফতানি করে আয় হচ্ছে ১ বিলিয়ন ডলার। নীতিমালা অনুযায়ী অধিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জাহাজ শিল্পে নিয়োজিত বিদ্যমান ৩০ হাজার কর্মীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করে আগামী চার বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে ১ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করাও নীতিমালার উদ্দেশ্য।

জাহাজ নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের কিভাবে ঋণ সহায়তা দেয়া যায়, ট্যাক্স ও ভ্যাটের ক্ষেত্রে তাদেরকে কিভাবে একটু সুবিধা দেয়া যায় এগুলো এই নীতিমালার মধ্যে আছে। জাহাজ নির্মাণ আমাদের জন্য অত্যন্ত চমৎকার শিল্প। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য জাহাজ তৈরি করতে পারব। এতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। উন্নত দেশগুলো সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে দূরে সরে এসেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা এখন আউটসোর্সিং করছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই ইন্ডাস্ট্রিটাকে আমরা ধরতে পারি। সেটা পারলে এখান থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আইনী কাঠামোয় আনা হচ্ছে ট্যুর অপারেটরদের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

আপডেট সময় : ০৪:২৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসারে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে হাসিনা সরকার। পর্যটন কেন্দ্রগুলো নিশ্চিত পরিদর্শন এবং সেখানে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার কাজে হাত লাগিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। একারণে স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের একটি আইনী কাঠামোতে নিয়ে ভাবনা নিয়েও কাজ করছিলো সরকার। সে অনুযায়ী যে আইনী খসড়াটি তৈরি করা হয়, তাতে ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রি সেটির অনুমোদন দিয়েছে।
যাতে বলা হয়েছে, পর্যটকদের সর্বোত্তম পরিষেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় ট্যু’র অপারেটরদের সুপরিকল্পিত ভাবে ট্যুর পরিচালনা করতে পারেন, সেকারণে একটি আইনী কাঠামো প্রয়োজন। বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটরস এবং ট্যুর গাইডস (রেজিস্ট্রেশন এবং কন্ট্রোল অ্যাক্ট), ২০২০ অনুমোদনের পর এখন এটি আইনে পরিণত হতে আর কোন বাধা থাকলো না।


মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে সুপরিকল্পিতভাবে ট্যুর কার্যক্রম পরিচালনায় ট্যুর অপারেটর ও গাইড আইনের আওতায় পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
ট্যুর অপারেটর কীভাবে পরিচালনা করা হবে, দেশি-বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের কীভাবে অনুমোদন দেয়া হবে, কীভাবে নিবন্ধন দেয়া হবে-আইনে এসব উল্লেখ করা হয়েছে এবং আইনে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া ট্যুর পরিচালনাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ মাসের জেল বা ২ লাখ টাকা বা উভয় দন্ড বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্যুর অপারেটররা যদি কোনো অপরাধ করে তাহলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদন্ড ছাড়া সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অপরাধের বিচার মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যাবে।

নিবন্ধন ছাড়া ট্যুর অপারেশন করা যাবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নিবন্ধনের জন্য কি কি যোগ্যতা তা নির্ধারণ করে দেয়া হবে। সনদ প্রদানের জন্য সরকার একটি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ গঠন করবে। তিনি বলেন, পর্যটকদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে আইন করা হয়েছে। এর অধীনে একটি গাইডলাইন করা হবে। কোন সেবা কত টাকার মাধ্যমে পাওয়া যাবে, এগুলো পরিষ্কার হবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য ট্যুর অপারেটর, ট্যুর গাইডের কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।


খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা ধীরে ধীরে যত উন্নত দেশের দিকে যাব, আমাদের সেবাগুলো তত উন্নত হতে থাকবে। সেবাখাত বিনিয়োগের একটা বড় ক্ষেত্র হবে। এজন্য আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের মাধ্যমে পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সেবা প্রাপ্তি সহজ হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। কারণ, অনেক বড় বড় ইনফরমাল ট্যুর হচ্ছে কিন্তু কোনো ভ্যাট বা ট্যাক্স সরকারের খাতে জমা হচ্ছে না। এজন্য যত নিবন্ধন ও ট্যুর হবে সবগুলো রাজস্ব বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলে আসবে।
এদিন বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রফতানি আয় বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চার বছরের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ খাতের কর্মী সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ করারও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 


তিনি বলেন, জাহাজ নির্মাণ খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি, এই শিল্প সংশ্লিষ্ট নানাবিধ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশ, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি নির্ভরতা হ্রাস, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্পের টেকসই বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনাসহ জাহান নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

নীতিমালার মূল লক্ষ্যগুলো আলোচনায় এনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় জাহাজ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে বিশ্ব জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উপযুক্ত অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলা হবে এই নীতিমালার লক্ষ্য।
এছাড়া, অধিক বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রফতানি খাতের অবদান ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। এখন জাহাজ রফতানি করে আয় হচ্ছে ১ বিলিয়ন ডলার। নীতিমালা অনুযায়ী অধিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জাহাজ শিল্পে নিয়োজিত বিদ্যমান ৩০ হাজার কর্মীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করে আগামী চার বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে ১ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করাও নীতিমালার উদ্দেশ্য।

জাহাজ নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের কিভাবে ঋণ সহায়তা দেয়া যায়, ট্যাক্স ও ভ্যাটের ক্ষেত্রে তাদেরকে কিভাবে একটু সুবিধা দেয়া যায় এগুলো এই নীতিমালার মধ্যে আছে। জাহাজ নির্মাণ আমাদের জন্য অত্যন্ত চমৎকার শিল্প। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য জাহাজ তৈরি করতে পারব। এতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। উন্নত দেশগুলো সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে দূরে সরে এসেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা এখন আউটসোর্সিং করছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই ইন্ডাস্ট্রিটাকে আমরা ধরতে পারি। সেটা পারলে এখান থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।