৮ এপ্রিল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৯:০২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১ ২০১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
বৃহস্পতিবার থেকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বরাবরের মতো শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ
বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় তিনি জানান, ৮ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রথম ডোজ শেষ হবে। ভ্যাকসিনের মজুত বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এনিয়ে অসুবিধা হবে না। তিনি কথা বলেছেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ দিতে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। যে পরিমাণ মজুত রয়েছে, তা শেষ হবার আগেই টিকার চালান এসে পৌছাবে।
পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে
মন্ত্রিসভায় রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সচিব জানিয়েছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী মিটিংয়ে ছিলেন। ওনাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তেলের দাম ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে বেশি বলে তারা একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে রিবেট (ছাড়) দিলে তারা কম দামে বাজারে তেল দিতে পারবেন। রাজস্ব বোর্ড বলেছে, এই বিষয়ে তারা চিন্তা করবে। মন্ত্রিসভা বলেছে, যে পরিমাণ রিবেট দেয়া হবে। তবে, বাজারে ভোক্তারা যেন এই সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সে বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তা নিশ্চিত করবে। অন্যান্য নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুতের কথাও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মুক্তিযোদ্ধারা উৎসব, নববর্ষ ও বিজয় দিবস ভাতা পাবেন
সভায় খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার টাকা হারে বছরে দুটি উৎসব ভাতা এবং একই সঙ্গে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে বাংলা নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার টাকা করে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জীবিতদের মহান বিজয় দিবসের ভাতা হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এজন্য খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে উৎসব ভাতা প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সব শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধা উৎসব, নববর্ষ ও বিজয় দিবস ভাতা পাবেন।
সচিব জানান, বর্তমানে ৫ হাজার ২২২ জন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে পঙ্গুত্বের মাত্রাভেদে চারটি (এ, বি, সি ও ডি) শ্রেণিতে মাসিক ৪৫ হাজার টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা, ৯৫২ জন মৃত-যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা, পাঁচ হাজার ৮১৬ জন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের মাসিক ৩০ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতা এবং বছরে ১০ হাজার টাকা হারে দুটি উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা বাংলা নববর্ষ ভাতা এবং জীবিত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা পাচ্ছেন না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সাত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার পাবেন মাসিক ৩৫ হাজার টাকা
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারকে মাসিক ৩৫ হাজার টাকা হারে, ৬৮ বীর উত্তম পরিবারকে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে, ১৭৫ বীর বিক্রম পরিবারকে মাসিক ২০ হাজার টাকা হারে এবং ৪২৬ বীর প্রতীক পরিবারকে মাসিক ১৫ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ১২ হাজার টাকা হারে সম্মানি ভাতার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা হারে দু’টি উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা হিসেবে দুই হাজার টাকা এবং জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা মহান বিজয় দিবস ভাতা হিসেবে ৫ হাজার টাকা পেয়ে আসছেন।
‘চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ আইন-২০২১’ অনুমোদন
আইন অমান্যকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছরের কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ আইন-২০২১’ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ‘যদি কেউ আইন লঙ্ঘন করে, তবে, তার অপরাধের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ এক মাস থেকে এক বছরের কারাদন্ড বা ১ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা দন্ড দেওয়া হবে। এদিন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন আইন-২০২১ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।