ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৭ জানুয়ারী বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বদাশ নির্বাচন। বুধবার সন্ধ্যায় জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণদানকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নির্বাচনী তফসি ঘোষণা করেন।

নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়া নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় তিনি বলেন, জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনেও সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে অপচেষ্টা প্রতিহত করার আহ্বান জানান।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে নির্ভয়ে এসে স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন সিইসি। বুধবার তফসিল ঘোষণার জন্য জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, সবার অংশগ্রহণই নির্বাচনকে এসব অনিয়ম থেকে দূরে রাখতে পারে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে পারে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়, নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। তাতে জনমতেরও শুদ্ধতার প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে সংহত ও টেকসই হয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির উৎকর্ষসাধন হয়।

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসে সমাধান খোঁজার তাগিদও দেন তিনি।

২০১৪ সালের মতো একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে ফিরে এসেছে সহিংসতা। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশে অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার অবস্থানে অনড়।

জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির ব্যবহার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনো মূল্যে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করতে হবে।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ, উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট আপনার, ভোট দিতে কারও হস্তক্ষেপ বা প্ররোচনায় প্রভাবিত হবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৭ জানুয়ারী বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন

আপডেট সময় : ১০:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বদাশ নির্বাচন। বুধবার সন্ধ্যায় জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণদানকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নির্বাচনী তফসি ঘোষণা করেন।

নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট সুষ্ঠু ও অবাধ হওয়া নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মধ্যেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় তিনি বলেন, জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে।

নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনেও সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে অপচেষ্টা প্রতিহত করার আহ্বান জানান।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে নির্ভয়ে এসে স্বাধীনভাবে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন সিইসি। বুধবার তফসিল ঘোষণার জন্য জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, সবার অংশগ্রহণই নির্বাচনকে এসব অনিয়ম থেকে দূরে রাখতে পারে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হতে পারে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমেই।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়, নির্বাচন অধিক পরিশুদ্ধ ও অর্থবহ হয়। তাতে জনমতেরও শুদ্ধতার প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্রমান্বয়ে সংহত ও টেকসই হয়। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির উৎকর্ষসাধন হয়।

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসে সমাধান খোঁজার তাগিদও দেন তিনি।

২০১৪ সালের মতো একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে রাজনীতিতে ফিরে এসেছে সহিংসতা। সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশে অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন করার অবস্থানে অনড়।

জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশিশক্তির ব্যবহার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনো মূল্যে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করতে হবে।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসাহ, উদ্দীপনা, সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে স্বাধীনভাবে আপনাদের মূল্যবান ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদ ও সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। ভোট আপনার, ভোট দিতে কারও হস্তক্ষেপ বা প্ররোচনায় প্রভাবিত হবেন না।