আগামী ৭ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে শুরু হতে যাচ্ছে গণটিকা কর্যক্রম। এবিষয়ে সরকারের তরফে জোর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। টিকাকার্যক্রম বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর নির্দেম দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ প্রধান তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আটদিনে ১ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তানিয়ে বুধবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন।
টিকাকার্যক্রম শুরুদিন শনিবার ৩২ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয় বুধবার সন্ধ্যায়। যেখানে প্রতিটি
জেলার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
সেখানে জানানো হয়, টিকা দিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আবার কোন পর্যায়ে কয়টি করে টিকাকেন্দ্র হবে, কোথায় টিকাকেন্দ্রগুলো করা হবে, তা-ও ঠিক হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে সপ্তাহে দু’দিন নিয়মিত টিকাদান ঠিক রাখা হবে। এর বাইরে তিন দিন করোনার টিকা দেওয়া হবে।
সভায় করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যসচিব ডা. মো. শামসুল হক বলেন, একেক দিন প্রায় ৩২ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
কর্মসূচির প্রথম দিন এ রকম পরিমাণ টিকাই দেওয়া হবে। সারা দেশে ৮১ হাজার ১৬৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন। ইদানিং দিন ধরে দিনে ৩ লাখের মতো করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৪ হাজার টিকা দিতে কেন্দ্র থাকবে।
বর্তমানে সরকারের হাতে মজুত টিকার পরিমাণ প্রায় সোয়া কোটি। ১ আগস্ট এই তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, চলতি মাসেই আরও ১ কোটির মতো টিকা আসবে। ৭ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে সরকার এক কোটি মানুষকে টিকা দিতে চায়।