৭১-এ শহীদ ‘শংকু স্মৃতিস্তম্ভ’ হবে রংপুরে

- আপডেট সময় : ০৫:৪২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

স্মৃতিস্তম্ভের জন্য স্থান নির্ধারণ করে নির্মাণ কাজে হাত লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন : ছবি সংগ্রহ

মায়ের সাথে দেখা করলেন জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, তুলে দিলেন নগদ অর্থ
নিজস্ব প্রতিনিধি
চলছে অগ্নিঝরা মার্চ মাস। এই মাসটি বাঙালির জাতির কাছে অত্যন্ত বেদনার এবং অহংকারের। একদিকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বর অত্যাচারের শুরুটা হয়েছিল এই মার্চ মাসেই। অন্যদিকে বাঙালি স্বাধীনতার স্বাদ পায় এই মার্চ মাসেই। টুকরো টুকিরো স্মৃতির ছড়িয়ে রয়েছে বিস্তৃর্ণ লালসবুজের এই বাংলায়।
মার্চ মাস হারানো ও প্রাপ্তির মাস। এই মাসের ২৫ তারিখেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তৎকালীন পূর্ববঙ্গে পৃথিবীর অন্যতম গণহত্যা সংগঠতি করে। তারা সেদিন রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের ওপর ঝাপিয়ে পরে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অগণিত মানুষকে হত্যা করে। তারা জ্বালিয়ে দেয় বাড়িঘর। হত্যা-লুণ্ঠন, ধর্ষসহ হেন অত্যাচার নেই যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী করেনি।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ বাংলাদেশের রংপুরে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন শংকু সমাজদার। শতবর্ষী মা দীপালি সমাজদারের একটাই আশা শহীদ সন্তানের নামে রংপুর শহরে একটা স্মৃতিস্তম্ভ। মায়ের সেই আশা পূরণ হতে চলেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্মৃতিস্তম্ভের জন্য স্থান নির্ধারণ করে নির্মাণ কাজে হাত লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন।
জেলা প্রশাসক শুক্রবার নগরীর কামাল কাছনায় শহীদ শংকুর মায়ের সাথে দেখা করতে গিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। শংকু সমাজদারের মায়ের সাথে সাক্ষাতে এসে কথা বলতে আবেগ তাড়িত হয়ে পরেন জেলা প্রশাসক। জড়িয়ে ধরেন শংকুর মাকে। জেলা প্রশাসনের তরফে দীপালিকে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
শহীদ শংকু সমাজদারের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রজন্মের কাছে শংকুকে তুলে ধরতে এদিন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট রংপুর জেলা শাখা ও রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।