ভারতের বেশিরভাগ অঞ্চলেই করোনার সংক্রমণ তলানিতে এসে ঠেকেছে। সে কারণে স্কুল খোলার জন্য উদ্যত হচ্ছে একাধিক রাজ্য। ইতিমধ্যেই হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ বেশ কিছু রাজ্যে স্কুল খুলে গিয়েছে। পুজোর পর স্কুল খোলার ইঙ্গিত দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গও।
প্রায় সব রাজ্যই অন্তত দেড় বছর পরে স্কুল-কলেজ খোলার ইঙ্গিত দিতে শুরু করায়, এ বার শিক্ষকদের টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার।
আসছে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের মধ্যে সমস্ত শিক্ষককে টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র। এই পরিকল্পনা রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকার বাড়তি দু’কোটি প্রতিষেধক বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া বলেন, রাজ্যগুলি যেমন প্রতিষেধক পায়, এই মাসেও তেমন সংখ্যক প্রতিষেধক তো পাবেই। উপরন্তু শিক্ষকদের জন্য ২ কোটি বাড়তি টিকা পাবে রাজ্যগুলি।
স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল এনকে অরোরার
শিক্ষকদের টিকাকরণ ও স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করেছেন কোভিড টিকা সংক্রান্ত সরকারের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান এনকে অরোরা। তাঁর মতে, ধাপে ধাপে স্কুল খোলার সময় এসেছে। তবে তার আগে পড়ুয়াদের বাবা-মা ও বাড়ির প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ জরুরি।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে অরোরা বলেছেন, শিশুদের গুরুতর সংক্রমণ হবে না। কোভিড তাদের মারাত্মক অসুস্থ করেও তুলবে না। তবে সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, শিশুদের বাবা মায়েদের
পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষা, অশিক্ষককর্মী, বাসচালকদের টিকাকরণ জরুরি। এর ফলে শিশুরা একটা নিরাপদ বলয়ের মধ্যে থাকবে।
তবে শিক্ষকদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারটি কেন্দ্র তদারকি করলেও তাদের বক্তব্য, স্কুল খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্যগুলিই নেবে।