ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫২’র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরভাস্বর : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ ২৪২ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রভাষা
বাংলার দাবি উপস্থাপন করেছিলেন’

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

৫২’র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে চিরভাস্বর। তৎকালীন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উপস্থাপন করেছিলেন। একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

এর আগে একুশের প্রথম প্রহর মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে শহিদ মিনারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শহিদ বেদীতে পুষ্পার্পণে অংশ নেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, অমর শহিদদের রক্তে রঞ্জিত ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে, তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলা পৃথিবীর ষষ্ঠ ভাষা। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে যাতে বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে হাসিনা সরকার।

শহিদ মিনারে পৌঁছুনোর আগে ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ভাষা শহিদ আবুল বরকত, আব্দুল জব্বার ও শফিউরের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে নিরবে প্রার্থনা শেষে শহিদ মিনার অভিমুখে পদযাত্রা করেন তারা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে: কর্নেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান, আবদুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অমর একুশের প্রাক্কালে ভাষার মাসের কয়েকটি সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৪৮ সালে ঢাকায় জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেবার পর বঙ্গবন্ধুই এর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ সভা আহবান করেছিলেন। ঐ সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন এবং পরবর্তীতে এই আন্দোলনের জন্য তাকে কারাবরণ করতে হয়। সেখানেও তিনি অনশনের মাধ্যমে ভাষার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অনবদ্য অবদানকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে ইতিহাসের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৫২’র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরভাস্বর : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

‘তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রভাষা
বাংলার দাবি উপস্থাপন করেছিলেন’

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক

৫২’র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে চিরভাস্বর। তৎকালীন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উপস্থাপন করেছিলেন। একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

এর আগে একুশের প্রথম প্রহর মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নেতৃত্বে শহিদ মিনারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শহিদ বেদীতে পুষ্পার্পণে অংশ নেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, অমর শহিদদের রক্তে রঞ্জিত ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে, তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলা পৃথিবীর ষষ্ঠ ভাষা। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে যাতে বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে হাসিনা সরকার।

শহিদ মিনারে পৌঁছুনোর আগে ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ভাষা শহিদ আবুল বরকত, আব্দুল জব্বার ও শফিউরের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে নিরবে প্রার্থনা শেষে শহিদ মিনার অভিমুখে পদযাত্রা করেন তারা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লে: কর্নেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান, আবদুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অমর একুশের প্রাক্কালে ভাষার মাসের কয়েকটি সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৪৮ সালে ঢাকায় জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দেবার পর বঙ্গবন্ধুই এর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ সভা আহবান করেছিলেন। ঐ সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন এবং পরবর্তীতে এই আন্দোলনের জন্য তাকে কারাবরণ করতে হয়। সেখানেও তিনি অনশনের মাধ্যমে ভাষার জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অনবদ্য অবদানকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে ইতিহাসের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ।