৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত ২৩ নাবিক ও জাহাজ
- আপডেট সময় : ১০:১৪:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১১০ বার পড়া হয়েছে
সোমালিয়ার উত্তর-পূর্ব সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড রাজ্যের পূর্ব উপকূল থেকে অন্তত আট জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে
৩১ দিনের জিম্মি দশা থেকে ২৩ নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করতে জাহাজ মালিককে গুণতে হয়েছে দস্যুদের দাবিকৃত ৫০ লাখ ডলার।
দাবিকৃত অর্থ বুঝে নিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলাদেশি ২৩ নাবিক ও জাহাজ মুক্তি দেয় সোমালিয়ান জলদস্যুরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স দুই জলদস্যুর বরাত দিয়েছে এসব তথ্য জানিয়েছে। দস্যুরা জানিয়েছে, তাদের দাবিকৃত ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ মিটিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্ত করতে হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
আবদিরাশিদ ইউসুফ নামের এক জলদস্যু সংবাদ সংস্থাকে বলেছে, দুই রাত আগে টাকাগুলো আমাদের কাছে আনা হয়… সেগুলো জাল কি না তা আমরা পরীক্ষা করে ভেজাল নয় নিশ্চিত হবার পর টাকাগুলো দলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। তারপর সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে পালিয়ে যাই।
দস্যু আরও জানায়, সব নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটিকে মুক্তি দিয়েছে তারা। এ ঘটনায় মন্তব্যের আহ্বানে সাড়া দেয়নি সোমালি সরকার।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম পান্টল্যান্ড পোস্ট বলেছে, ২০১২ সালের পর এই প্রথম মুক্তিপণ পেলো সোমালি জলদস্যুরা। এ তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় আরেকটি সংবাদমাধ্যম গারো অনলাইন জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড রাজ্যের পূর্ব উপকূল থেকে অন্তত আট জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ছেড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পান্টল্যান্ড পুলিশ ফোর্সের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গারো অনলাইনকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে আটকে রাখা জলদস্যু দলের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছেন।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জিম্মি করা হয় এর ২৩ নাবিককেও।
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে ঘটে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশি জাহাজটির পিছু নিলেও সেটি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।