৪৩ জন ভিক্ষুকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। ছবি-সংগ্রহ
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
কোভিড দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত মানবিক অনেক ঘটনাই ঘটে চলেছে। পিপিই পড়ে করোনা আক্রান্তর সঙ্গে হাসপাতালে বিয়ের ঘটনাও এসময়েরই ঘটনা। তবে সব কিছু ছাপিয়ে গেল একটি ব্যতিক্রমী সংবাদ। তাহলো ভিক্ষুককে চাকরী দান।
তাও আবার এক দুইজন নয়। এক্কেবারে ৪৩জনের চাকরী। তারা এখন ভিক্ষাবৃত্তির থালার বদলে কারখানার কর্মে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ঘটনা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায়। সরকারের অর্থায়নে গড়ে ওঠা একটি প্যাকেজিং কারাখানায় ৪৩ ভিক্ষুকের কর্মসংস্থানের মতো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
শনিবার জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্যাকেজিং কারখানার উদ্বোধনের পাশাপাশি ৪৩ ভিক্ষুক কর্মীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন।
এসময় তিনি বলেন, ভিক্ষা নয়, কর্মময় হবে ৪৩ জন ভিক্ষুকের জীবন। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ হবে বাংলাদেশ। এ উদ্যোগটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দেশকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
চৌরখুলী গ্রামের ভিক্ষুক সোনামতি, রেখা, ডালিম বেগমরা এখন ঘৃণা ভিক্ষাবৃত্তির বদলে কারখানার কর্মী। তারা হাত পেতে নয়, শ্রমের বিনিময়ে জীবন গড়তে চান।