ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আরকান আর্মির হাতে আটক ২৬ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারে জাতিসংঘের উদ্বেগ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পৃথিবীতে নজির সৃষ্টি করবে: গুতেরেস সংস্কার ছোট হলে ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে নির্বাচন জুনে, ড. ইউনূস রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই সংকটের একমাত্র সমাধান: গুতেরেস কানাডায় পালানো রাষ্ট্রদূত হারুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বিশ্বে প্রথমবারের মতো লাখো লোকের ইফতারে ড. ইউনূস ও গুতেরেস ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন ইউনূস ও গুতেরেস বোনকে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে স্বাক্ষর জাল করেন টিউলিপ : দুদক এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িতে মিললো ৩৭ লাখ টাকা

৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১ ২৭০ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বঙ্গবন্ধু কখনো মাথানত করেননি, হননি আদর্শচ্যুত

ভয়েজ ডিজিটাল ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু কখনো মাথানত করেননি হননি আদর্শচ্যুত উল্লেখ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যে কর্মসূচি নিয়েছিলেন, সেটা আজ প্রমাণিত যে তা অনুসরণ করলেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। আমরা সেই কর্মসূচিই অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। তার পথ অনুসরণ করে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল এ দেশের দারিদ্র্য পীড়িত মানুষকে মুক্ত করবেন। এমন করে দেশকে গড়ে তুলবেন যাতে বিশ্বের বুকে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য দূর করতে তিনি সেইভাবে কর্মসূচি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিতে গিয়ে তিনি দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু কখনো মাথানত করেননি, আদর্শচ্যুত হননি।

দুর্ভাগ্য তিনি যে দেশের স্বাধীনতা দিয়েছেন সেই স্বাধীন দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। এটা কেউ কল্পনাও করেনি, বিশ্বাস করতেও পারেনি। কারণ তিনি এ দেশের মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তিনি এ দেশের জন্য রক্ত দিয়ে গেছেন। কৃষক-শ্রমিকের মুখে হাসি ফোটানোর মধ্য দিয়ে তার রক্তঋণ শোধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করছি। আমি দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিলেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে পারছি। প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, সেই স্বাধীন দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। শুধু হত্যাই নয়, তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল।

একজনকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা, নায়ক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটা সফল হয়নি। বিশ্বনেতারাও বলছেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন।

এ সময় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সারা দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৫৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মার্চ ২০২১

বঙ্গবন্ধু কখনো মাথানত করেননি, হননি আদর্শচ্যুত

ভয়েজ ডিজিটাল ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু কখনো মাথানত করেননি হননি আদর্শচ্যুত উল্লেখ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সভাপতিত্ব করেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যে কর্মসূচি নিয়েছিলেন, সেটা আজ প্রমাণিত যে তা অনুসরণ করলেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। আমরা সেই কর্মসূচিই অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। তার পথ অনুসরণ করে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল এ দেশের দারিদ্র্য পীড়িত মানুষকে মুক্ত করবেন। এমন করে দেশকে গড়ে তুলবেন যাতে বিশ্বের বুকে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য দূর করতে তিনি সেইভাবে কর্মসূচি দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা দিতে গিয়ে তিনি দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু কখনো মাথানত করেননি, আদর্শচ্যুত হননি।

দুর্ভাগ্য তিনি যে দেশের স্বাধীনতা দিয়েছেন সেই স্বাধীন দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। এটা কেউ কল্পনাও করেনি, বিশ্বাস করতেও পারেনি। কারণ তিনি এ দেশের মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তিনি এ দেশের জন্য রক্ত দিয়ে গেছেন। কৃষক-শ্রমিকের মুখে হাসি ফোটানোর মধ্য দিয়ে তার রক্তঋণ শোধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করছি। আমি দেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিলেন বলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে পারছি। প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, সেই স্বাধীন দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। শুধু হত্যাই নয়, তার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল।

একজনকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা, নায়ক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আজ সেটা সফল হয়নি। বিশ্বনেতারাও বলছেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি এ দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন।

এ সময় শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সারা দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পর্যন্ত মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।