শুরুটা হওয়া কথা ছিলো ২২ আগস্ট থেকেই। ১৭ আগস্ট ভারতের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে ভারত-বাংলাদেশের এয়ার বাবলের আওতায় ফ্লাইট শুরু হওয়ার কথা ছিলো। এ নিয়ে বাংলাদেশের তরফে আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩ সেপ্টেম্বর দু’দেশের মধ্যে আকাশ
পথ উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ চালুতে সম্মতি দিয়েছে ভারত। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর ভারতের সঙ্গে পুনরায় আকাশপথে যোগাযোগ চালু করার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফ্লাইট চালুতে
সম্মতি দিল ভারত। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এবং ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গিয়েছে।
ভারতের সিভিল এভিয়েশন তরফে জানিয়েছে, পর্যটন ভিসায় ভারতে প্রবেশ করা যাবে না। বাংলাদেশ থেকে যারা ভারত যাবেন তাদেরকে নিজ খরচে ভারতের বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করাতে হবে। দেশটি তাদের তিনটি এয়ারলাইন্সকে সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি
দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে বেবিচককে এয়ার বাবলের আওতায় সব ধরনের ফ্লাইটের স্থগিতাদেশ তুলে নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
এয়ার বাবলের আওতায় ভারত-বাংলাদেশ আকাশপথ উন্মুক্ত হচ্ছে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ভারতের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রক ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। শনিবার এ তথ্য জানায় ভারতের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রক। শনিবার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্পাইস জেট ৩টি, এয়ার ইন্ডিয়া ২টি ও ইন্ডিগোর ২টি ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব রয়েছে। ১৭ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের
উপহারের অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এয়ার বাবলের আওতায় ২০ আগস্ট থেকে ভারতের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ চালুর কথা জানিয়েছিলেন।
ভারতের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ চালু রয়েছে। করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই দেশগুলোতে ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত রয়েছে।