২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি : নয়া সিইসি
- আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসাবে নিযোগ দেওয়া হয়েছে সাবেক আমলা এএমএম নাসির উদ্দীনকে। পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ কমিশনের অধীনেই হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে রাষ্ট্রপতি পাঁচ সদস্যের নতুন কমিশন গঠন করলেন।
নিয়োগ পাওয়ার এক প্রতিক্রিয়ায় সিইসি নাসির উদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের নির্বাচনের ইতিহাস হচ্ছে কলঙ্কিত ইতিহাস। ২০১৪ সাল, ২০১৮ সাল ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ নির্বাচনের জন্য মানুষ গুম, খুন হত্যার শিকার হয়েছে। এ ভোটারাধিকার আদায় করতে গিয়ে গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কত হাজার হাজার মানুষ আহত হলো পঙ্গু হলো। হাত, পা, চোখ হারাল। নিহত হলো কত মানুষ। তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারি, তাহলে তাদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ নতুন কমিশন নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেন। কমিশনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সিইসি বলেন, সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলাম। সেখানে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবেও সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা থাকবে যাতে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি না হয়। আশাকরি সফল হবো। অতীতেও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল, সামনেও হয়তো অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। সামনে চ্যালেঞ্জ আরও অনেক বেশি। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগোতে হবে। ইনশাল্লাহ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।