১৪ দিনে মৃত্যু ২৫৪৯, শনাক্ত প্রায় দেড় লাখ ছাড়িয়েছে

- আপডেট সময় : ০৮:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
ছবি সংগ্রহ
এই মৃত্যু আর সংক্রমণকে সঙ্গী করেই দুয়ারে ঈদ। এসময় যারা ঈদ করতে ঘরযাত্রা করবেন তাদের অবশ্যই মাস্কের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। নিজের, পরিবারের এবং সন্তানদের কথা বিবেচনায় নিয়ে অস্বাভাবিক সময়ে যাত্রার বিষয়টি পদে পদে মাথায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত স্থান ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত হবে এই অতিমারিকালে জীবনের সঠিক এবং অন্যতম।

মাহামারির ষোল মাসের মধ্যে জুলাই মাসটির প্রথম ১৪ দিনের ক্ষত কোন দিন শুকাবে না। পাথরচাপা হয়ে থাকবে চিরকাল। মহামারি একদিনতো থামবেই। কিন্তু যা কেড়ে নিয়েছে, তা কি আর ফিরে পাওয়া যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আপনি কি বলবেন? কারণ, যার কাছে প্রশ্ন তিনিও হয়তো শোককাতর একজন! করোনার সংক্রামণটা এমন বেলাগাম হবে তা হয়তো ভাবা যায়নি।
যা ভাববার নয়, তাইতো হয়ে আসছে পৃথিবীজুড়ে। এটিতো কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না। গোটা বিশ্বজুড়েই ভাইরাসটির কাছে কার্যত মানুষ জিম্মি! আপনজনের শেষ যাত্রায় সামিল হওয়া সম্ভব হচ্ছে না! এর চেয়ে বড় যন্ত্রণা আর কি হতে পারে? তারপরও এটাই সত্যি যে ১৪দিনে বাংলাদেশের মৃত্যুর তালিকা বেশ ভারী-২৫৪৯জন। আর সংক্রমণের তালিকা-সেতো দীর্ঘ প্রায় দেড় লাখের ঘরে!
এই মৃত্যু আর সংক্রমণকে সঙ্গী করেই দুয়ারে ঈদ। এসময় যারা ঈদ করতে ঘরযাত্রা করবেন তাদের অবশ্যই মাস্কের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। নিজের, পরিবারের এবং সন্তানদের কথা বিবেচনায় নিয়ে অস্বাভাবিক সময়ে যাত্রার বিষয়টি পদে পদে মাথায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত স্থান ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত হবে এই অতিমারিকালে জীবনের সঠিক এবং অন্যতম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব মতে বর্তমানে সংক্রমণের হার প্রায় ৩০ শতাংশের মতো। অধিদপ্তরের তথ্যে আরও বলা হয়েছে, চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত আক্রান্তর সংখ্যা ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৮০ জন। একই সময়ে মৃত্যু ২ হাজার ৫৪৯ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (৯ জুলাই পর্যন্ত) বিশ্বে যে সব দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। করোনা সংক্রমণ রুখতে ১ জুলাই থেকে সাতদিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। পরবর্তীতে তা সাতদিন বাড়িয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে।
সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময়ে জরুরি সেবা দেওয়া ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। খোলা ছিলো শিল্প-কারখানা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত। আর নতুন রোগী শনাক্তের দিক থেকে বিশ্বে দ্বাদশ অবস্থানে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সরকার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় সবাইকে টিকার আওতায় আনতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করছে। সেই হিসেবে বর্তমানে দেশটিতে ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য গন টিকাদান শুরু করেছে হাসিনা সরকার।
এমন পরিস্থিতিতেও ঈদকে সামনে রেখে ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করে গণপরিবহন, দোকানপাট ও শপিংমল ইত্যাদি খুলে দেওয়া হয়েছে।