ঢাকা ০৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ দিনের শাটডাউনের খবরে ঢাকা ছাড়ার হিড়িক

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ ২২১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি মানা তো দুরের কথা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। এতে করে সরকারের করোনা সংক্রমনরোধে কঠোর অবস্থান ভেস্তে যেতে বসেছে’

হু হু করে বাড়ছে করোনার বিস্তার। মৃত্যু ও আক্রান্তর উর্ধমুখী বিস্তার ঠেকাতে ১৪ দিনের কঠোর কঠোর লকডাউন বা শাটডাউনের সুপারিশ করেছে কভিড সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি। আর এই খবর আসতেই রাজধানী ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। ফেরিঘাটগুলো ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে।

মহামারি করোনার প্রভাব বিস্তার রোধে সরকারের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কায় সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ফেরিতে পারাপার হচ্ছে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প উপায়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌছাচ্ছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সড়ক মহাসড়ক এড়িয়ে গ্রামের পথে ফেরিঘাটে আসছেন মানুষ।

সড়কে কড়া নজরদারিতে রয়েছে প্রশাসন, যানবাহন থামিয়ে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদের। কিন্তু এরপরেও মানুষ বিভিন্ন কৌসলে বিকল্প পথে ঘাট পারি দিচ্ছে।

তাদেরকে কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সরকারের নির্দশনায় গত ২২ জুন থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বর্তমানে দৌলতদিয়ার ৭ টি ঘাটের চারটি ঘাট সচল রয়েছে। এ চারটি ঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী যানবাহন ফেরিতে উঠছে। আর এই সুযোগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যানবাহন ও যাত্রীরা ফেরিতে স্বাভাবিকভাবে পারাপার হচ্ছে।

পাশাপাশি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিতেও পণ্যবাহী গাড়ির সঙ্গে যাত্রী ও অন্যান্য ব্যাক্তিগত গাড়ী পারাপার হচ্ছে।

মাগুড়া থেকে আসা কয়েকজন যাত্রী জানান, মোটরসাইকেল করে মধুখালি হয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে গোয়ালন্দ মোড় পর্যন্ত পৌছেন। পথে পুলিশের বাধা পেয়ে গ্রামের পথে ইজিবাইক চড়ে ঘাটে আসছেন।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর জানান পুলিশের একাধিক দল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাটমুখো আসা যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের ( বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারি মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, আমাদের কতৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে, পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরী সেবার যানবাহন ছোট গাড়ি পারাপার হতে পারবে। কিন্তু এরপরও ফেরি ঘাটে ভেড়ার সুযোগে কিছু যাত্রী উঠে পরছে এতে আমাদের কিছু করার থাকছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৪ দিনের শাটডাউনের খবরে ঢাকা ছাড়ার হিড়িক

আপডেট সময় : ০৮:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

‘সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থবিধি মানা তো দুরের কথা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। এতে করে সরকারের করোনা সংক্রমনরোধে কঠোর অবস্থান ভেস্তে যেতে বসেছে’

হু হু করে বাড়ছে করোনার বিস্তার। মৃত্যু ও আক্রান্তর উর্ধমুখী বিস্তার ঠেকাতে ১৪ দিনের কঠোর কঠোর লকডাউন বা শাটডাউনের সুপারিশ করেছে কভিড সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি। আর এই খবর আসতেই রাজধানী ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। ফেরিঘাটগুলো ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে।

মহামারি করোনার প্রভাব বিস্তার রোধে সরকারের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কায় সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ফেরিতে পারাপার হচ্ছে।

গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প উপায়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌছাচ্ছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সড়ক মহাসড়ক এড়িয়ে গ্রামের পথে ফেরিঘাটে আসছেন মানুষ।

সড়কে কড়া নজরদারিতে রয়েছে প্রশাসন, যানবাহন থামিয়ে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদের। কিন্তু এরপরেও মানুষ বিভিন্ন কৌসলে বিকল্প পথে ঘাট পারি দিচ্ছে।

তাদেরকে কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সরকারের নির্দশনায় গত ২২ জুন থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বর্তমানে দৌলতদিয়ার ৭ টি ঘাটের চারটি ঘাট সচল রয়েছে। এ চারটি ঘাট দিয়ে দক্ষিণাঞ্চল-পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী যানবাহন ফেরিতে উঠছে। আর এই সুযোগে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যানবাহন ও যাত্রীরা ফেরিতে স্বাভাবিকভাবে পারাপার হচ্ছে।

পাশাপাশি মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিতেও পণ্যবাহী গাড়ির সঙ্গে যাত্রী ও অন্যান্য ব্যাক্তিগত গাড়ী পারাপার হচ্ছে।

মাগুড়া থেকে আসা কয়েকজন যাত্রী জানান, মোটরসাইকেল করে মধুখালি হয়ে গ্রামের ভেতর দিয়ে গোয়ালন্দ মোড় পর্যন্ত পৌছেন। পথে পুলিশের বাধা পেয়ে গ্রামের পথে ইজিবাইক চড়ে ঘাটে আসছেন।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর জানান পুলিশের একাধিক দল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাটমুখো আসা যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের ( বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারি মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, আমাদের কতৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে, পণ্যবাহী ট্রাক, জরুরী সেবার যানবাহন ছোট গাড়ি পারাপার হতে পারবে। কিন্তু এরপরও ফেরি ঘাটে ভেড়ার সুযোগে কিছু যাত্রী উঠে পরছে এতে আমাদের কিছু করার থাকছে না।