১২ নভেম্বর ট্রেন পৌছাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের ‘ঝিনুকে’
- আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা সরাসরি পর্যকটবাহী ট্রেন যাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। ট্রেনে থাকবে বাংলার
জাতীয় মাছ ইলিশ ভাজাসহ নানা পদের মুখোরক খাবার।
ইলিশ ভাজা, বেগুন ভাজা, খিচুরী, সুগন্ধী চালের ভাত, কাতলা মাছের রসা ছাড়াও আরও যে কত
রকমের বাংলাদেশি খাবার, যা ভাবা যায় না।
এই টেনে একবার যারা ভ্রমণ করবেন, তারা বার বার ছুটে যেতে চাইবেন কক্সবাজারে।
মোট কথা ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন জার্ণি হবে স্বপ্নিল।
অনিরুদ্ধ
র্যটন নগরী কক্সবাজারের আকাশে-বাতাসে আনন্দধ্বনী। ১২ নভেম্বর ট্রেন পৌছাবে ‘ঝিনুকে’। বর্ণিল সাজে সেজে
ওঠবে সমুদ্রতট। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২নভেম্বর হবে ট্রয়াল রান।
আগে থেকেই প্রস্তুতি চূড়ান্ত অবস্থা সরেজমিন দেখতে সোমবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রাম ছুটে আসেন রেলমন্ত্রী নূরুল
ইসলাম সুজন। তিনি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রী জানালেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন
উদ্বোধন করবেন। রেলমন্ত্রী বলেন, দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প।
এ প্রকল্পটির দু’একটি স্টেশনের সামান্য কাজ বাকি রয়েছে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ কাজগুলোও শেষ হয়ে যাবে।
আগামী ২ নভেম্বর এ রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল রান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ১২ নভেম্বর এ রেললাইনের উদ্বোধন করবেন।
দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও দেশবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন
বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এই রেলপথকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে
হাসিনা সরকারের।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-কক্সবাজার ৯২ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার
পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার।প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন
করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের
অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়।