হেফাজতের তান্ডব কঠোর হস্তে দমন করতে হবে : কেন্দ্রীয় ১৪ দল
- আপডেট সময় : ১০:৪৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১ ২৬৩ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তান্ডব, ভাঙচুর করা বিভিন্ন স্থাপনা: ছবি: সংগ্রহ
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
হেফাজতে ইসলামের তান্ডব কঠোর হস্তে দমন করার ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার ১৪ দলের আলোচনা সভা থেকে এই কথা বলেন বক্তারা। ভার্চুয়াল আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, হেফাজতে ইসলামকে দমন করতে না পারলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, আগামী দিনে দেশ কীভাবে চলবে, সেই নির্দেশনাও বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অনুসরণ করলে আমাদের সামনে যে বিষয়গুলো আসছে, তা আসার কথা নয়। ভবিষ্যতেও আসতে পারবে না।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের সামনে বিকল্প কিছু না পেয়ে ধর্মান্ধের স্লোগান ছাড়া সামনে কিছু ছিল না। তবে এটা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা মনে করি না। তারা সুযোগ পেলেই সাম্প্রদায়িকতার আশ্রয় গ্রহণ করে। বারবার সাম্প্রদায়িকতার ওপর আশ্রয় নিয়ে দেশের ওপর আঘাত করতে চায়। হেফাজতই হোক বা তাদের আড়ালে জামায়াত-শিবির পাকিস্তানি শক্তি হোক, তারা কোনো বিচ্ছিন্ন শক্তি নয়।
সরকারকে উদ্দেশ করে আমির হোসেন আমু বলেন, এগুলোকে ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। সরকারের আইন কঠিনভাবে তাদের ওপর প্রয়োগ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, হেফাজতের মধ্যে অধিকাংশই জামায়াতের লোক। মামুনুল হকের পিতা কে ছিল? তাদের অন্যরা কারা? আপস করে কখনও লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। রাজনীতিতে আজ যেটা শুরু হয়েছে, তা অশনি সংকেত। এটা বন্ধ করতে আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে। সনদ দেই আর যেভাবেই যতই খুশি করার চেষ্টা করি, তারা কিন্তু তাদের রাজনৈতিক দর্শন থেকে সরবে না। তারা যেখানে আছে সেখানেই থাকবে। তাদের খুশি করার কোনও সুযোগ নেই। রাজনীতির লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার চ্যালেঞ্জ যারা দিয়েছিল, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। তারা কিছুতেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নির্বিঘ্নে পালন করতে দেবে না। এত বড় ঘটনা ঘটে গেলো, যা তালেবানদের অতীতের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়। আগামী দিনে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে কিনা তা ভাবতে হবে।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, জাতীয় পার্টি-জেপি মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।