ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩, ২৮ কার্তিক ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাসিনা ও মোদীর হাত ধরে যাত্রা তিন প্রকল্পের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩ ৬০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন

ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছবি সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প তিনটির উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে, আখাউড়া-আগরতলা ও মোংলা-খুলনা রেলপথ এবং বাগেরহাটের রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।

বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, আমরা সেটা প্রমাণ করেছি। বিশ্বে এটি নজির স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অবদান রাখবে। এছাড়াও দেশে মেট্রোরেল, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ায় আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি। এজন্য তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার অধীনে বাংলাদেশকে প্রদত্ত ভারতীয় ৩৯২.৫২ কোটি রুপি ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়াল গেজ ও ত্রিপুরায় ৫.৪৬ কিলোমিটার রেললাইনসহ এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হলো।

ভারতীয় কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের আওতায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হলো বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১৩২০ মেগাওয়াট (৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি)।

প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট ১ উন্মোচন করেন এবং ১ নভেম্বর ২০২৩-এ ইউনিট ২ উদ্বোধন করা হবে। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published.

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হাসিনা ও মোদীর হাত ধরে যাত্রা তিন প্রকল্পের

আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

ছবি সংগ্রহ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প তিনটির উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে, আখাউড়া-আগরতলা ও মোংলা-খুলনা রেলপথ এবং বাগেরহাটের রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।

বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, আমরা সেটা প্রমাণ করেছি। বিশ্বে এটি নজির স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অবদান রাখবে। এছাড়াও দেশে মেট্রোরেল, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ায় আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি। এজন্য তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার অধীনে বাংলাদেশকে প্রদত্ত ভারতীয় ৩৯২.৫২ কোটি রুপি ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়াল গেজ ও ত্রিপুরায় ৫.৪৬ কিলোমিটার রেললাইনসহ এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হলো।

ভারতীয় কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের আওতায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হলো বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১৩২০ মেগাওয়াট (৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি)।

প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট ১ উন্মোচন করেন এবং ১ নভেম্বর ২০২৩-এ ইউনিট ২ উদ্বোধন করা হবে। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।