হাসিনার-মোদি হাত ধরে ২৭ মার্চ শুভ যাত্রা ঢাকা-জলপাইগুড়ি যাত্রী ট্রেনের
- আপডেট সময় : ০৯:৫৪:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১ ২২৬ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস রিপোর্ট, ঢাকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষ এবং ভারত-বাংলাদেশ কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০তম বছর উপলক্ষে গোটা বাংলাদেশটাই যেন একটা মঞ্চ। দেশজুড়ে চলছে নানা আয়োজন। রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রারাউন্ডের ‘মুজিব চিরন্তন’ ১০দিনের মূল অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন বিশ্বনেতারা। তৃতীয় বিশ্বনেতা হিসেবে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি সোমবার ঢাকায় এসেছেন। এর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এবং শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ঘুরে গিয়েছেন। বুধবার আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে ঢাকায় পা রাখতে যাচ্ছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা-শিড়িগুড়ি রুটের চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন। এটির ঢাকার সেনানিবাস রেলস্টেশন থেকে নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে নিউ জলপাইগুড়ির পথে চলাচল করবে। ট্রেনের নাম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে এর আগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পণ্যবাহী ট্রেনের উদ্বোধন করেছিলেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এবারে ঢাকায় উপস্থিত থেকে একসঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে পণ্যবাহী ট্রেনের শুব উদ্বোধন করেন।
ভারত-বাংলাদেশের চলাচলকারী ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং খুলনা-কলকাতা রুটের ট্রেনটি বন্ধন এক্সপ্রেস। রেলওয়ে ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ব্রডগেজ ট্রেনের কোচ নেই। এ জন্য ভারতের কোচ দিয়েই যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০টি কোচের একটি ট্রেন বিনা পয়সায় ভারত দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ কোচ আমদানি করলে নিজস্ব ট্রেন চালানো হবে। সম্ভাব্য ভাড়ার হার ও কোন দেশ কত রাজস্ব পাবে, তার প্রস্তাব ভারতের কাছে পাঠানো হয়েছে। এসি বার্থ, এসি সিট ও এসি চেয়ার এই তিন ধরনের আসন থাকবে। এগুলোর ভাড়া হার প্রস্তাব করা হয়েছে যথাক্রমে ৪৪, ৩৩ ও ২২ ডলার।
ঢাকা-জলপাইগুড়ি পথের দূরত্ব ৫৯৫ কিলোমিটার। যার ৫২৬ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের তরফে দূরত্ব বিবেচনায় ট্রেনের আয় দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগির একটি প্রস্তাবও ভারতকে দেওয়া হয়েছে। যাতে বলা রয়েছে, আয়ের ৮৫ ভাগ বাংলাদেশ, ১৫ ভাগ ভারতের। মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনেও দূরত্ব অনুসারে আয় বণ্টন হচ্ছে। এই পথের দূরত্ব ৫৩৮ কিলোমিটার। বাংলাদেশে পড়েছে ৪১৮ কিলোমিটার। বাকিটা ভারতে। আয়ের ৭৫ শতাংশ বাংলাদেশ এবং ২৫ শতাংশ ভারত।
গত মাসে শিলিগুড়িতে দুই দেশের রেল কর্তৃপক্ষের দিনের বৈঠকে ট্রেনটি উভয় দেশ থেকে সপ্তাহে দুই দিন চলাচলের বিষয়টি সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ থেকে সোমবার ও বৃহস্পতিবার। ভারত থেকে রোববার ও বুধবার চালানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। রেলওয়ে ভবন সূত্র বলছে, ২৭ মার্চ উদ্বোধন হলেও ট্রেন চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। করোনার প্রকোপ রুখতে এক বছর যাবত ভারত ও বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ। একারণে নতুন ট্রেনে যাত্রী নিয়ে ভাবনায় পড়েছে রেলওয়ে। ট্রেন চালুর ১০ দিন আগে থেকেই টিকিট বিক্রি শুরু হওয়া দরকার। কিন্তু এখনো ভাড়ার হারই চূড়ান্ত হয়নি।