ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা এবং ৪.৩২ বিলিয়ন ডলার নিষ্পত্তির তাগিদ ঢাকার ঢাকায় আমনা বালুচের সফল বৈঠক, এ মাসে আসছে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৬’র রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন চান জামায়াত আমির বিলুপ্তির প্রায় দেশী প্রজাতির মাছ রক্ষা করে উৎপাদনোর তাগিদ অপরিকল্পিত কীটনাশকের ব্যবহারে ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য আয়োজনে মাতলো ডিআরইউ আগস্টে বাংলাদেশ সফরে আসছে ভারতের ক্রিকেট দল জুলাই আন্দোলনে মরদেহ পোড়ানো ৩ পুলিশকে কারাগারে পাঠালো ট্রাইব্যুনাল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : ড. ইউনূস গুলির নির্দেশদাতা সেই দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর

ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে
ভয়েস একাত্তর অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটিকে বলেছেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সহিংসভাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকেই সেখানে তার বিরুদ্ধে যে জনঅসন্তোষ তৈরি হয়েছিল সে বিষয়ে অবগত ছিল ভারত।

সংসদ সদস্যদের জয়শঙ্কর বলেন, তখন ভারতের পক্ষে তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি, কারণ শেখ হাসিনাকে সহায়তার বিনিময়ে তাদের স্বার্থ হাসিলের মতো কিছু ছিল না। শেখ হাসিনা শুধু পরামর্শ দেওয়া যেত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ভারতের মতো আরও কয়েকটি প্রধান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই জানত।

এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়টি টেনে আনেন। যেখানে বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করা হতে পারে-এমন সতর্কবার্তা জাতিসংঘ আগে থেকেই দিয়েছিল।

শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র নীতির ওপর খোলামেলা আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল আলোচনার প্রধান বিষয়।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের সঙ্গে সংলাপ শুরু করলেও, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারত দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ভারত তার পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রিকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে। তবে আগামী ২-৪ এপ্রিল ব্যাংককে আসন্ন বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হবে কি না, সে বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কিছু জানা যায়নি।

অধ্যাপক ইউনূস এরই মধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তি যা চট্টগ্রাম ও ঢাকা এবং চীনা গন্তব্যগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। এদিকে এস. জয়শঙ্কর চীনকে নিজেদের ‘প্রতিপক্ষ নয় বরং প্রতিযোগী’ বলে উল্লেখ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর

আপডেট সময় : ০২:২৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর শনিবার (২২ মার্চ) দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটিকে বলেছেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সহিংসভাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকেই সেখানে তার বিরুদ্ধে যে জনঅসন্তোষ তৈরি হয়েছিল সে বিষয়ে অবগত ছিল ভারত।

সংসদ সদস্যদের জয়শঙ্কর বলেন, তখন ভারতের পক্ষে তেমন কিছু করা সম্ভব হয়নি, কারণ শেখ হাসিনাকে সহায়তার বিনিময়ে তাদের স্বার্থ হাসিলের মতো কিছু ছিল না। শেখ হাসিনা শুধু পরামর্শ দেওয়া যেত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ভারতের মতো আরও কয়েকটি প্রধান স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে আগে থেকেই জানত।

এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্কের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়টি টেনে আনেন। যেখানে বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের সময় নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করা হতে পারে-এমন সতর্কবার্তা জাতিসংঘ আগে থেকেই দিয়েছিল।

শনিবার ভারতের পররাষ্ট্র নীতির ওপর খোলামেলা আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্যরা ড. জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলো বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল আলোচনার প্রধান বিষয়।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের সঙ্গে সংলাপ শুরু করলেও, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় ভারত দিল্লি-ঢাকা সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ভারত তার পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রিকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছে। তবে আগামী ২-৪ এপ্রিল ব্যাংককে আসন্ন বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠক হবে কি না, সে বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কিছু জানা যায়নি।

অধ্যাপক ইউনূস এরই মধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তি যা চট্টগ্রাম ও ঢাকা এবং চীনা গন্তব্যগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। এদিকে এস. জয়শঙ্কর চীনকে নিজেদের ‘প্রতিপক্ষ নয় বরং প্রতিযোগী’ বলে উল্লেখ করেছেন।