‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন আমাদের বাঁচাতে দিন’
- আপডেট সময় : ১২:৩৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
কোথায় স্বাস্থ্যবিধি ছবি: সংগ্রহ
‘মানুষের কাছে চিকিৎসদের আকুতি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং আমাদের রক্ষা করুন’ এপ্রিলেই মৃত ১৭ চিকিৎসকের’। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং ১ দশমিক ৮ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা। এই তিনটি কাজই হলো ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার সেরা পদ্ধতি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সহজেই এই মরণব্যাধি থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচান’
ভয়েস ডিজিটাল ডেস্ক
চলতি মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১৭ চিকিৎসক। স্বাস্থ্যবোয় নিয়োজিত চিকিৎসকেরা সবার প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ‘কেউ নিজে রোগী হবেন না, আমাদের মারবেন না। আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং আমাদের রক্ষা করুন।
চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে মারা যাব, এটা আর কত দিন? এমুহূর্তে বাংলাদেশে ৭ হাজার করোনা রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। এর চেয়ে দ্বিগুণ কিংবা তিন গুণ রোগী হলে তাদের সেবা দেব কীভাবে? তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, নিজে বাঁচুন, দেশ ও সমাজকে বাঁচানোয় অকুতি জানান চিকিৎসকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ রোগ বিভাগের প্রধান ডা. ফাহিম ইউনুস ২০ বছর ধরে সেখানে ভাইরাস নিয়ে কাজ করছেন। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ কত মাস বা কত বছর থাকবে তা কেউ জানে না। অজানা এই সময়কে অস্বীকার করার যেমন দরকার নেই, তেমনি আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
কোভিড ভাইরাস পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা যা বোঝতে পেরেছেন তা হলো, জীবনকে অহেতুক কঠিন করার প্রয়োজন নেই। আমাদের সুখে থাকা কিংবা নিরাপদে থাকার জন্য শুধু তিনটি কাজ করতে হবে। তা হলো মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং ১ দশমিক ৮ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা।
এই তিনটি কাজই হলো ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার সেরা পদ্ধতি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সহজেই এই মরণব্যাধি থেকে নিজে বাঁচুন, অন্যকে বাঁচান।
দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়। মার্চের শুরু থেকেই ফের ঊর্ধ্বমুখি। অনেকে এটিকে দ্বিতীয় ঢেউ বললেও চিকিৎসকেরা মতামত এটা ‘করোনার সুনামি’! তারা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবারের সংক্রমণ তীব্র। আর এই সুনামিতে চিকিৎসকসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।
গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হতে শুরু করেন। তবে সেটা কিছুটা কমে আসে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্যমতে, এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৯৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী। যার মধ্যে চিকিৎসক ২ হাজার ৯১১ জন, নার্স ২ হাজার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৩ হাজার ২৯৬ জন।
বিএমএ বলছে, গত বছরের জুন-জুলাই ও আগস্ট মাসে সংক্রমণটা তীব্র রূপ নেয়। সে সময় সবচেয়ে বেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। কেবল জুন মাসেই মারা যান ৪৫ জন চিকিৎসক। এরপর ধীরে ধীরে কমে আসে। চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে মারা যান আট জন চিকিৎসক। কিন্তু এপ্রিলেই মারা গেছেন ১৭ জন চিকিৎসক। এ পর্যন্ত মোট ১৫১ জন চিকিৎসক করোনায় মারা গিয়েছেন।