স্বপ্নের ইতালি যাত্রায় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে মারা গেলেন ১৭ বাংলাদেশি

- আপডেট সময় : ১২:০২:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১ ২০৭ বার পড়া হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত
এটা কোন নতুন বার্তা নয়! এর আগে আরও বহু ঘটনার স্বাক্ষী ভূমধ্যসাগরের অথৈ জলরাশি। তারপরও থামছে না স্বপ্নে ইউরোপ যাত্রা। কিছুসংখ্যক অর্থলোভী দালাল গোষ্ঠী বা চক্র বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে কখনও সরাসরি আবার কখনও ভারত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের লিবিয়া পৌঁছোয়।
তারপর নৌকাযোগে ভূমধ্যসাগর পারি দেবার চেষ্টা চালায়। তারা এই কাজটি করে থাকেন ‘হয় মৃত্যু না হয় ইউরোপ’ এমন চ্যালেঞ্জ নিয়ে।

পুরো কাজটিই অবৈধভাবে করা হয়ে থাকে। এমনি ভূমধ্যসাগর পারি দিয়ে হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশিরা।
২১ জুলাই বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায় যখন ঈদ আনন্দে ব্যস্ত তখন ১৭ বাংলাদেশি সলিল সমাধি হলো ভূমধ্যসাগরের অথৈ জলরাশিতে। এই নৌকাডুবির ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়।
লিবিয়া উপকূল থেকে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাটি ডুবে গিয়ে কমপক্ষে ১৭ জন বাংলাদেশি অভিবাসীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট। বুধবার রেড ক্রিসেন্টের
বরাত দিয়ে এই সংবাদ পরিবেশন করে বিশ্ব সংবাদমাধ্যম। তিউনিয়া কোস্টগার্ড সাগরে ভাসমান অবস্থায় ৩৮০ জনের বেশি আরোহীকে উদ্ধার করেছে।
বলা হচ্ছে, ইউরোপের প্রধান গন্তব্য ইতালিতে গত কয়েক বছরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রবেশের সংখ্যা কমে এলেও ২০২১ সালে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।
মূলত আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ ও দারিদ্র্য কবলিত অঞ্চলগুলো থেকে পালিয়ে নিরাপত্তা ও উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে এসব অভিবাসন প্রত্যাশী।
রেড ক্রিসেন্ট জানায়, লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের জুয়ারা থেকে সিরিয়া, মিসর, সুদান, মালি ও বাংলাদেশের অভিবাসীদের নিয়ে রওনা দিয়েছিলো ডুবে যাওয়া নৌযানটি।
তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মংগি স্লিম বলেন, ১৭ জন বাঙালি মারা গিয়েছে এবং ৩৮০ জনের বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা লিবিয়ার জুয়ারা থেকে ইউরোপের পথে রওনা দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কারও নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তিউনিসিয়ার উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌযানডুবির ঘটনা ঘটেছে। অভিবাসনের প্রত্যাশায় তিউনিসিয়া ও লিবিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশে, বিশেষ করে ইতালিতে
পৌঁছানোর জন্য ভূমধ্যসাগর পারি দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। একের পর এক দুর্ঘটনার পরও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি।